সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকের শিবনটোলা গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে বাধা গ্রামবাসীর। শুক্রবার দুপুরে প্রায় আধঘণ্টা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের খুঁটি বাড়ির গা ঘেঁষে বসানো হচ্ছে। বাড়ির পাশে বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে বাধা দেন গ্রামবাসী। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মানিকচক থানার পুলিস। বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে পরে কাজ শুরু হয়।
গঙ্গার নদীগর্ভে শিবনটোলা গ্রাম চলে যাওয়ায় সেখানকার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন কামালপুর বাঁধে। বাঁধের দু’ধারে এখন শিবনটোলার প্রায় ৭০০ পরিবার বাস করে। সদ্য বন্যা কবলিত ভূতনির পুরো অংশ এবং মথুরাপুরের কিছু অংশের বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নত করতে এই কামালপুর বাঁধের উপর দিয়ে খুঁটি বসানো হচ্ছে। ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুত্ যাবে তার দিয়ে। কিন্তু এতেই আপত্তি বাঁধে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলির। দু’মাস আগেই তারা মানিকচক ব্লক, বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি, পুলিস এবং জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর আপত্তি জানিয়েছে। এদিন খুঁটি বসানোর কাজ শুরু হতেই স্থানীয়রা বাধা দেন। বিদ্যুত্ বণ্টন কোম্পানির গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ।
এলাকার নিমাই মণ্ডল, পুলিন মণ্ডল, সরস্বতী মণ্ডলদের বক্তব্য, বাঁধের ওপর একেবারে বাড়ি ঘেঁষে খুঁটি বসানো হচ্ছে। তাতে বাঁধের উপরে বসবাসকারী কুঁড়েঘর এবং খড়ের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সরস্বতী বলেন, গঙ্গা ভাঙন থেকে বেঁচে বাঁধের ধারে বসবাস শুরু করেছি। ব্লক প্রশাসন আমাদের এখানে থাকার ব্যবস্থা করেছে। বাড়ি ঘেঁষে যেভাবে হাই ভোল্টেজের বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতে আমাদের প্রাণের ঝুঁকি হতে পারে। বাঁধের ধারে প্রচুর ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেদিক দিয়ে তার নিয়ে যাওয়া হোক। মানিকচক বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির এক আধিকারিক বলেন, জেলা আধিকারিকদের পর্যবেক্ষণে কাজটি হচ্ছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ঠিক নয়।