• বর্ষবরণের রাতে সল্টলেকে হত্যার ঘটনায় পুলিসের জালে আরও ৩, খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে মুছে ফেলা হয়েছিল রক্তের দাগ
    বর্তমান | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: সল্টলেকের মহিষবাথানে বর্ষবরণের রাতে মারধর করে এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার পরদিনই তার এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করল বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, পেশায় ফুড ডেলিভারি বয় সুব্রত মাজিকে (২৫) মারধর করেই খুন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে ঘটনাস্থলে রক্তের দাগও মুছে ফেলা হয়েছিল। এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি করছে পুলিস। সে পলাতক। কমিশনারেটের দাবি, তাকে গ্রেপ্তার করলেই এই খুনের ঘটনার সম্পূর্ণ কিনারা হয়ে যাবে।


    প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর বর্ষবরণের রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সুব্রত। বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে স্থানীয় মাঠে গানের অনুষ্ঠান চলছিল। ভোররাতে বাড়ির লোকজন খবর পান সুব্রত জখম হয়েছেন। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়ে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। অসুস্থতা বাড়লে ১ জানুয়ারি সকালে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই সুব্রতর বন্ধু সবুজকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। সুবজের বিরুদ্ধে এর আগেও মারধরের অভিযোগ রয়েছে।


    কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, সুব্রতর মাথায় আঘাত ছিল। তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন সুবজ সহ অন্যান্যদের সঙ্গে বসেই খাওয়া দাওয়া করেছে সুব্রত। সেই সময় কথা কাটাকাটি হয়। তখন সুব্রতকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার জেরে মাঠেই আছড়ে পড়েন তিনি। তখনই মাথায় গুরুতর চোট লাগে। মাঠে যেখানে রক্ত পড়েছিল, অভিযুক্তরা জল দিয়ে তা ধুয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তারাই সুব্রতকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। তাই পরিবারের লোকজন প্রথমে বুঝতে পারেননি, এটি দুর্ঘটনা নাকি খুন! 
  • Link to this news (বর্তমান)