নেতা-মন্ত্রীদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ পুলিস কমিশনারের
বর্তমান | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কসবার পর মালদহ! রাজ্যের দুই প্রান্তে তৃণমূল কাউন্সিলারদের উপর হামলার জেরে নতুন করে ১৭ দফা নির্দেশিকা জারি করলেন কলকাতার পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘কলকাতার নেতা-মন্ত্রী থেকে এমএলএ-এমপি সহ কাউন্সিলারদের মতো জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে পর্যালোচনা করতে হবে। পর্যলোচনা শেষে পুলিস কমিশনারকে রিপোর্ট দেবেন সংশ্লিষ্ট ডিসি এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চ।’
শুক্রবার কলকাতার সব থানার ওসিদের পাশাপাশি ডিসিদের কাছে সিপির এই ১৭ দফার লিখিত নির্দেশিকা পৌঁছেছে। সেটির পাঁচ নম্বর পয়েন্টে নেতা-মন্ত্রীদের নিরাপত্তা পর্যালোচনার কথা বলা হয়েছে। সেখানে সিপি বলেছেন, ‘গত দু’মাসে দু’টি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে জনপ্রতিনিধিরা দুষ্কৃতীদের টার্গেট হয়েছেন। যারমধ্যে একটি খোদ কলকাতায়। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ নেতা-মন্ত্রীদের নিরাপত্তা নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।’ নির্দেশিকায় সুপারি কিলারের হাতে মালদহের তৃণমূল কাউন্সিলার খুনের কথা উহ্য রাখা হলেও, সিপি ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছেন তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি বাহিনীর।
উল্লেখ্য, কলকাতার কসবাতে গত নভেম্বরের মাঝামাঝি তৃণমূল কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। ঘটনার পর শাসক দলের অন্দরে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা-ব্যর্থতা নিয়ে সরবও হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। এরমধ্যেই ২ জানুয়ারি মালদহে খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলার। তারপর নতুন করে কলকাতার সিপির এই নির্দেশিকা তাৎপর্যপূর্ণ।
নির্দেশিকায় সিপি কলকাতা শহরে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের রমরমা বন্ধ করতে থানার ওসিদের পাশাপাশি এসটিএফকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। পাশাপাশি সিপি সরকারি জমি দখল ঠেকাতে থানার ওসিদের সক্রিয় হতে বলেছেন। এরজন্য কেএমসি সহ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে ওসিদের। উল্লেখ্য, সর্বশেষ প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি জমি বেদখল হওয়ায় পুলিসের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতায় বেআইনি কলসেন্টারের দাপাদাপি বন্ধ করার পাশাপাশি বেআইনি নির্মাণ, জলা ভরাট বন্ধে ওসিদের ফের সক্রিয় হতে বলেছেন সিপি। পাশাপাশি মিড ডে মিলের দুর্নীতি ঠেকাতে ওসিদের আইসিডিএস সেন্টারে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।