এক বছর ধরে চোরাকুঠুরিতেই আত্মগোপন! ধৃত ৩ বাংলাদেশি
বর্তমান | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, বনগাঁ: চোরাপথে ভারতে এসে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার তিন বাংলাদেশি যুবক। ধৃতদের নাম ইয়াসিন সরকার (২৩), সোহাগ মিঞা (২৭) ও হাসান মিঞা (২৪)। ইয়াসিন বাংলাদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা। ব্রাহ্মণবেড়িয়ার বাসিন্দা সোহাগ। হাসানের বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায়। বৃহস্পতিবার রাতে বনগাঁ থানার পুলিস স্থানীয় কলমবাগান এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এলাকায় সন্দেহজনকভাবে তাঁদের ঘোরাঘুরি করতে দেখে এলাকার বাসিন্দারা পুলিসকে খবর দেন। পুলিস তাঁদের গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক চারদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত বাংলাদেশি যুবকরা প্রায় এক বছর আগে চোরাপথে এদেশে এসেছিলেন। এতদিন বনগাঁ শহরে দুই দালালের গোপন ডেরায় আত্মগোপন করেছিলেন তাঁরা। ভারতে থেকে জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে ভারতীয় নাগরিক সেজে পাসপোর্ট তৈরি করাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। পরবর্তীতে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
সূত্রের দাবি, বনগাঁ পুরসভা এলাকায় একটি বাড়িতে মাটির কয়েক ফুট নীচে একটি ঘরে আত্মগোপন করেছিলেন তাঁরা। অভিযুক্ত দুই দালাল বাংলাদেশি যুবকদের কাছ থেকে ভারতের জাল পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার নাম করে প্রায় ৪০ লক্ষেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে বাসিন্দাদের মনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ চলছে। এভাবে দালাল ধরে এদেশে এসে ভারতের জাল পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে চলে যান ওই অনুপ্রবেশকারীরা। বনগাঁ আদালতের বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, ধৃত বাংলাদেশি যুবকরা স্বীকার করেছেন যে, তাঁদের বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ধৃতদের আপাতত পুলিস হেফাজত হয়েছে। তদন্তে তাঁদের এদেশে আসার কারণ জানা যাবে। এছাড়া অভিযুক্ত দালালদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।