• ‘বাঘের ঘরে’ কী করে রেভিনিউ ভিলেজ হলো? প্রশ্ন হাইকোর্টের
    এই সময় | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভিতরে কী করে ‘রেভিনিউ ভিলেজ’ তৈরি হয়, বক্সা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তার জবাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বক্সা সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে হোম স্টে সরানোর যে নির্দেশ গ্রিন বেঞ্চ দিয়েছিল, তা চ্যালেঞ্জ মামলায় আদালত এই প্রশ্ন তুলেছে।

    শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর প্রশ্ন, ‘বাঘ সংরক্ষণের জঙ্গল কী ভাবে রাজ্যের একটি বিজ্ঞপ্তিতে রেভিনিউ ভিলেজ হলো? এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অবস্থান কী? রাজ্য কীসের ভিত্তিতে ওই বনাঞ্চলের ভিতরের গ্রামগুলিকে রেভিনিউ ভিলেজ হিসেবে ঘোষণা করল? এমন ঘোষণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের গাইডলাইনই বা কী?’

    এর আগে বক্সার পরিবেশ বাঁচাতে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত প্রথমে মামলা করেন জাতীয় পরিবেশ আদালতে। সেই আদালতের দেওয়া রায় হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ হওয়ার পর থেকে আর তাঁর সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে এ দিন এজলাসে সুভাষ দত্তের সামনেই অনুযোগ করেন বিচারপতি।

    তিনি কিছুটা ক্ষোভের সঙ্গেই সুভাষকে বলেন, ‘একসময়ে আপনিই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অথচ এখন ওই বনাঞ্চল বাঁচাতে আপনার সাহায্য মিলছে না। আপনার ইমেজের সঙ্গে এটা মিলছে না।’ যদিও সুভাষ পাল্টা কিছু না–বলে এই মামলার সম্পর্কে কোর্টকে বোঝানোর চেষ্টা করেন।

    জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ ছিল, জলপাইগুড়ির নদীগুলিতে ক্রাশার বসিয়ে পাথর ভেঙে দূষণ ছড়ানো হয়। তাই অবিলম্বে সেগুলি বন্ধ করতে হবে। গত শুনানিতে জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের কাছে ক্রাশারের সংখ্যা জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি বসু। দিতে বলেছিলেন রিপোর্ট। এ দিন রাজ্যের কৌঁসুলি সেই রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় চান।

    মামলায় তিস্তার প্রসঙ্গ উঠতেই বিরক্ত বিচারপতি সরকারি আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিককে বলেন, ‘তিস্তাটাও ফেলে রেখেছেন কেন? ওখানেও নির্মাণ করে ফেলুন!’ রাজ্য সরকারকে বিচারপতির নির্দেশ, ‘জঙ্গলের কোর এলাকায় কিছু নির্মাণ থাকলে এখনই সে সব সরিয়ে ফেলুন।’ রাজ্যের বক্তব্য, বনাঞ্চলের একদিক ব্যবহার হলেও সংরক্ষিত এলাকা বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহৃত হয়নি। কারণ ২০১৩–এ কেন্দ্রই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, বনাঞ্চলে রেভিনিউ ভিলেজ করা যাবে। তাই রাজ্য কিছু গ্রাম চিহ্নিত করেছে।

  • Link to this news (এই সময়)