স্বামী রেলে চাকরি করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পরে অর্ধেক পেনশন পান বাঁকুড়ার ওন্দার বছর ৭০-এর হরিদাসী গুঁই। কিন্তু তাঁর নামও উঠেছিল বার্ধক্য ভাতার উপভোক্তা তালিকায়। বিষয়টি নজরে আসার পরেই বার্ধক্য ভাতা ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন হরিদাসী। তাঁর কথায়, ‘এই টাকা হয়তো অন্য এমন একজনের কাজে লাগবে, যাঁর সত্যিই টাকার দরকার।’
ওন্দা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারডাঙার বাসিন্দা হরিদাসী গুঁই। তাঁর স্বামী ছিলেন রেলের কর্মী। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পেনশন পাচ্ছেন নিয়ম মোতাবেক। সম্প্রতি ওন্দা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তাঁর কাছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস-সহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। প্রথমে তিনি কারণ ঠাহর করতে পারেননি। পরে জানতে পারেন বার্ধক্য ভাতার উপভোক্তা তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। আর সেই জন্যই এই তথ্য তলব।
এরপরেই তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে লিখিত আবেদনে জানান, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পেনশন পান। তাই তিনি বার্ধক্য ভাতা নিতে চান না। তাঁর ছেলে নিতাই চন্দ্র গুঁই বলেন, ‘কী ভাবে মায়ের নাম বার্ধক্য ভাতার তালিকাতে উঠল, তা জানি না। প্রশাসনের কাছে এই ভাতা না দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।’
এই প্রসঙ্গে, বিজেপি পরিচালিত ওন্দা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েয়েত উপ-প্রধানের দাবি, ‘এই তালিকা অনেক আগের। আমরা প্রশাসনের কাছে ওঁর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করব।’ কী ভাবে পেনশন প্রাপক এক প্রবীণার নাম বার্ধক্য ভাতার উপভোক্তা তালিকায় যুক্ত হলো? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।