• কোচবিহার বিমানবন্দরে ক্যান্টিনের দাবি যাত্রীদের
    এই সময় | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • প্রবীর কুণ্ডু, কোচবিহার

    কোচবিহার–কলকাতা রুটে নয় (৯) আসনের বিমানে যাত্রীদের চাহিদা তুঙ্গে। তবে ওয়েটিং রুমে বসে বিমানের অপেক্ষায় থেকে চা–কফি বা বিস্কুট খাওয়ার ইচ্ছে করলেও আপনি পাবেন না। হালকা বা ভারী খাবারেরও কোনও বন্দোবস্ত নেই কোচবিহার বিমানবন্দরে। দ্রুত ক্যান্টিন চালুর দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা৷

    দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে দু’বছর আগে চালু হয়েছে কোচবিহারের বিমানবন্দর৷ ভুবনেশ্বর–জামশেদপুর–কলকাতা–কোচবিহার এই রুটে চলাচল করে ছোট বিমান৷ যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে কোচবিহার–কলকাতা রুটে৷ কোচবিহার থেকে ট্রেনে চেপে শিয়ালদহ বা হাওড়া পৌঁছতে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। তাই দ্রুত কলকাতা যাতায়াতের ভরসা একটি মাত্র বিমান। প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে। তবে বিমানবন্দরে কোনও ক্যান্টিন না থাকায় টিফিনের কোনও সুযোগ নেই।

    কলকাতা থেকে কোচবিহার বিমানবন্দরে এসে বিমানটি অন্তত কুড়ি মিনিট দাঁড়ানোর কথা। এরপর ফের বিমানটি উড়ে যায় কলকাতার পথে। তবে যাত্রীদের প্রায় দেড় ঘণ্টা আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছতে হয়। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে বিমানটি কোচবিহার বিমানবন্দরে আসার কথা থাকলেও অনেক সময়ে এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরি হয়৷ ফলে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। ক্যান্টিন না থাকায় কিছু খেয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।

    কোচবিহারের বাসিন্দা রাজীব দেবনাথ বলেন, ‘প্রথম দিনেই এই বিমানে যাত্রী ছিলাম। এর পরেও যাতায়াত করেছি। বিমানবন্দরে সত্যিই ক্যান্টিনের প্রয়োজন। কারণ বন্দরের আশপাশে কোনও খাওয়ার বন্দোবস্ত নেই৷ যাত্রীরা যদি টিফিন সঙ্গে করে আনেন তবে সম্ভব। সেটা বেশির ভাগ যাত্রীই করতে পারেন না।’

    কোচবিহার আরেক বাসিন্দা সম্রাট কুণ্ডু বলেন, ‘প্রায় দু’বছর ধরে বিমান চলছে৷ যাত্রীদেরও চাপ বেড়েছে। তাই ক্যান্টিনের দরকার। অন্তত চা–কফি, পানীয় জল, চিপস বা হালকা খাবারের ব্যবস্থা করা দরকার।’ এ ব্যাপারে কোচবিহার বিমানবন্দরের ডিরেক্টর শুভাশিস পাল বলেন, ‘এই সমস্যা নিয়ে অনেক যাত্রীই অভিযোগ করেছেন। খুব শীঘ্রই ক্যান্টিন চালু করা হবে৷’

    বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টায় ভুবনেশ্বর থেকে রওনা দেয় নয় আসনের বিমানটি। জামশেদপুর পৌঁছয় ৭টা ৫০ মিনিটে। সওয়া ৮টার সময়ে জামশেদপুর থেকে ছেড়ে কলকাতা পৌঁছয় ৯টা ২০ মিনিটে। ১০টা ১০ নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে কোচবিহারে বিমানটি পৌঁছয় ১২টা ১০ মিনিটে। ফের সাড়ে বারোটা নাগাদ বিমানটি কলকাতার জন্য রওনা হয়।

    আপাতত ছোট রানওয়ের জন্য বড় বিমান চলাচল সম্ভব নয়। প্রয়োজন প্রায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ মিটার রানওয়ে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ১৭০০ মিটার রানওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন করে প্রায় ৬৩১ মিটার রানওয়ে বাড়ানো হবে। কোচবিহারে মরা তোর্সা নদীর উপর দিয়ে বিমান চলাচলের জন্য রানওয়ে তৈরির কাজ শুরুও হয়েছে। কাজ শেষ হলে তখন ৭২ আসনের বিমান চালানো সম্ভব হবে।

  • Link to this news (এই সময়)