• স্বাধীনতার পর প্রথম পাকা রাস্তা, ভেঙে যাচ্ছে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে, পথে নামল গোটা গ্রাম...
    আজকাল | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে সরকারি 'খাস' জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে  মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানার রাজধরপাড়া অঞ্চলের বেশ কিছু মাটি মাফিয়া। গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত এই ঘটনা চলতে থাকায় শনিবার পথে নামলেন নগরাজোল - মাঠপাড়া  গ্রামের বাসিন্দারা। শনিবার সকালে মাটি কেটে নিয়ে যখন কিছু মাটি মাফিয়া ট্রাক্টরে করে তা পাচার করার চেষ্টা করেছিল সেই সময় গ্রামবাসীরা বাধা দেন। আটকে দেওয়া হয় মাটি ভর্তি ট্রাক্টরগুলো। খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত বেশ কিছুদিন ধরে রাজধরপাড়া অঞ্চলের বোয়ালিয়াডাঙ্গা, মাঠপাড়া, নগরাজোল-সহ বেশ কিছু এলাকার সরকারি খাস জমি থেকে বেআইনিভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে 'অর্থ মুভার'  ব্যবহার করে মাটি কেটে নিচ্ছে বেশ কিছু মাটি মাফিয়া।

    সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে নাগরাজোল থেকে শীলপুকুর পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার রাস্তা ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেআইনিভাবে কাটা মাটি নিয়ে ট্রাক্টর চলায় নতুন তৈরী হওয়া এই রাস্তা ইতিমধ্যে ভেঙে যেতে শুরু করেছে।  আর এই কারণেই বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। তাদের বক্তব্য, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর এলাকার মানুষ গ্রামে প্রথম পাকা রাস্তা দেখতে পেয়েছেন। কিন্তু মাটি মাফিয়াদের দাপটে সেই রাস্তাও ভেঙে যাচ্ছে। শনিবার সকালে বিক্ষোভ দেখানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বেআইনিভাবে মাটি কাটা বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার আবেদন জানিয়েছি।

    কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন সব জেনেও সরকারি জমি থেকে এবং বেআইনিভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আজ আমরা পথ অবরোধ করতে এবং বেআইনিভাবে চলা ট্রাক্টরগুলোকে আটকে দিতে বাধ্য হয়েছি। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজধরপাড়া অঞ্চল সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন,' আমরা জেনেছি সরকারি জমি নয়, ব্যক্তিগত জমি থেকে কিনে   কিছু মানুষ ওই গ্রাম থেকে মাটি তুলে অন্যত্র পাঠাচ্ছিল। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত অফিস তৈরির জন্য কিছু মাটির প্রয়োজন ছিল ,তা ওই এলাকা থেকে নেওয়া হচ্ছিল। তবে স্থানীয় গ্রামবাসীরা বাধা দেওয়াতে আপাতত ওই এলাকা থেকে মাটি নেওয়ার কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।'
  • Link to this news (আজকাল)