আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীতকাল আর জানুয়ারি মাস মানেই বেড়ানোর মরশুম। বেড়ানো, খাওয়াদাওয়া আর পিকনিকের দেদার মজা। বেড়াতে যাওয়ার মধ্যে প্রায় সবারই প্রিয় জঙ্গল, নদী দিয়ে সাজানো সুন্দরবন। শুধু বাঘ, হরিণ,কুমির নয়, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভের মনোরম পরিবেশের টানে এক দিনের ছুটি নিয়ে চলে আসেন পর্যটাকরা। অন্যান্য বছরের মতই এবারেও শীত পড়তেই সুন্দরবন লাগোয়া পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। মাতলা নদীর পাড়ে বসেছে পিকনিকের দেদার আসর। মাতলা নদীর পাড়ে রয়েছে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত কৈখালি পর্যটন কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই এখানেই ভিড় জমাচ্ছেন বহু পর্যটক। তাঁদের অনেকেই আসছেন কলকাতা বা অন্য জেলা থেকে। কৈখালি পর্যটন কেন্দ্রে রাত্রিবাস করে লাগোয়া খেয়াঘাটে চলে আসেন পর্যটকরা।
তারপর বেরিয়ে পড়েন সুন্দরবনের বনি ক্যাম্প, কলস ক্যাম্প, দো বাঁকি ঘুরে সজনেখালি, সুধন্যখালি দেখার উদ্দেশ্যে। বোট বা লঞ্চে করে যাওয়ার পথে একবার যদি বাঘের দেখা মেলে তাহলে তো বাড়তি পাওনা। তবে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের পর্যটক আবাস ছাড়া কৈখালিতে পর্যটকদের থাকার অতিরিক্ত কোনও জায়গা সেভাবে না থাকায় আক্ষেপ শোনা গেল অনেকের গলায়। হাওড়ার দাশনগর থেকে আসা মৃণাল চক্রবর্তী নামে এক পর্যটক বলেন, প্রতিবছরই কৈখালিতে আসি। কিন্তু নিমপীঠ আশ্রমের পর্যটক আবাস ছাড়া আর কোনও থাকার জায়গা নেই এখানে।
কৈখালি পর্যটক আবাস ভর্তি হয়ে গেলে ফিরে যেতে হয়। মাতলা নদীর পাড়ে পিকনিক পার্টির ভিড় শুরু হয়ে যায় ডিসেম্বর মাস থেকে। তা চলে একেবারে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা লোকালে চেপে জয়নগর বা মজিলপুর স্টেশনে নেমে বাস, অটো, ম্যাজিক, ট্রেকারে করে জামতলা মোড়। সেখান থেকে অটো বা টোটো করে সোজা কৈখালি পর্যটন কেন্দ্র। সড়কপথে কামালগাজি বাইপাস ধরে বারুইপুর পুরাতন বাজার হয়ে জয়নগর থানার মোড়। সেখান থেকে টানা জামতলা হয়ে কৈখালি পর্যটন কেন্দ্রে আসার উপায় রয়েছে।