কাঁথি সমবায় নির্বাচনের পর এ বার নন্দীগ্রাম। ‘ড্র’ হয়ে যাওয়া সমবায় নির্বাচনে বোর্ড গড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। জোর লড়াই দিয়ে শেষে ধরাশায়ী বিজেপি। নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের টাকাপুরা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালক মণ্ডলীর নির্বাচনে ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ। জয়ের পরেই উল্লাসে মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা।
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের টাকাপুরা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির প্রতিনিধি নির্বাচন হয়। সেখানে বিজেপির সঙ্গে জোর টক্কর দেয় তৃণমূল। এই সমবায়ের মোট আসন সংখ্যা ৪৪টি। যার মধ্যে ২২টি করে আসন জেতে উভয় দলই।
শনিবার পরিচালক নির্বাচনের জন্য ১২টি আসনের ভোটাভুটি হয়। এই সমবায়ের বোর্ড সদস্য সংখ্যা ১২টি। পাঁচটি আসনে বিজেপির সদস্যরা এবং ছয়টি আসনে তৃণমূলের সদস্যরা বোর্ডে আগে থেকেই স্থান পায়। বাকি একটি আসনের জন্য শনিবার নির্বাচন হয়। একটি আসনের জন্য তৃণমূলের পক্ষে ভোট পড়ে ২৫টি এবং বিজেপির পক্ষে ভোট পড়ে ১৯টি। এক্ষেত্রে ‘ক্রস ভোটিং’ হয়েছে বলে তৃণমূলের দাবি।
নন্দীগ্রাম -১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত গর্গ বলেন, ‘ধর্মীয় মেরুকরণ নিয়ে যে ভাবে শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি প্রচার করে চলেছে, তার বিরুদ্ধেই নীরব প্রতিবাদ জানাচ্ছেন নন্দীগ্রামের মানুষজন। সেই কারণেই ক্রস ভোটিং হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন বিজেপির মনোনীত প্রার্থীরা।’
উল্লেখ্য, এই সমবায় আমদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। যে পঞ্চায়েত একটুর জন্য হাতছাড়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের। ফলে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের বোর্ড গঠনে বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে শাসক শিবির। শনিবার বোর্ড গঠন ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। নন্দীগ্রাম-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুনীল জানা বলেন, ‘এর থেকে প্রমাণিত হলো, মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। মানুষকে ভাঁওতা দিয়ে বেশি দিন চলে না। আগামী দিনে নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে।’