• শনিবারও ‘নিষিদ্ধ’ ওষুধ ব্যবহারের অভিযোগ, হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা স্বাস্থ্য ভবনের
    এই সময় | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • সমস্ত সরকারি হাসপাতালকে ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর তৈরি নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের রিঙ্গার ল্যাকটেট-সহ মোট ১৪ ধরনের ওষুধ ও স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি এই নির্দেশিকা জারি হয়। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা জারির পরে শনিবারও বেশ কিছু হাসপাতালে সেগুলি ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। শনিবার দুপুরে ফের কড়া বিবৃতি জারি স্বাস্থ্য ভবনের।

    স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা অনিরুদ্ধ নিয়োগী নতুন নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, ওই সংস্থার রিঙ্গার ল্যাকটেট-সহ মোট ১০ ধরনের ওষুধ ব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সেগুলি হলো: রিঙ্গার ল্যাকটেট-৫০০ এমএল, রিঙ্গার সলিউশন আইপি ইনজেকশন-৫০০ এমএল, ডেক্সট্রোস ইনজেকশন ১০% ৬৫০ এমওএসএম/এল-৫০০ এমএল, ম্যানিটল ইনফিউশন আইপি ২০%-১০০ এমএল, প্যারাসিটামল ইনফিউশন-১০০০ মিলিগ্রাম/১০০ এমএল, অফলোক্সাসিন-২০০ মিলিগ্রাম/১০০ এমএল, লেভোফ্লোক্সাসিন-১০০ এমএল, ১/২ ডিএনএস-৫০০ এমএল, সোডিয়াম ক্লোরাইড ইরিগেশন সলিউশন-৩ লিটার, পেডিয়াট্রিক মেনটেনান্স ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশন-৫০০ এমএল।

    উল্লেখ্য, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৬ জানুয়ারি রাতে সিজ়ার হওয়া ৫ জন প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ICU-তে স্থানান্তরিত করা হয়ে প্রত্যেককেই। শুক্রবার ভোরে মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতি মৃত্যুর পরেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্য জুড়ে। প্রসূতিদের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্যে ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ (স্যালাইন) দায়ী, এমনটাই জানা যায় স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে।

    ওই কোম্পানির ১৪ ধরনের ওষুধ ও স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়ার দাবি উঠলেও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম হাসপাতাল-সহ কলকাতা ও জেলার একাধিক সরকারি হাসপাতালে ওষুধ, স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠছিল সকাল থেকেই। এর পরেই তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য ভবন আরও একটি নির্দেশিকা জারি করে।

    ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর ওষুধ, স্যালাইন নিয়ে বিতর্কের ঘটনা নতুন নয়। কর্নাটকের বল্লারি জেলা হাসপাতালে চার প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনাতেও উঠে এসেছিল এই কোম্পানির নাম। ইতিমধ্যেই ওই ফার্মা সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে কর্নাটক সরকার। শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট ব্যাচের ওই ওষুধ এবং স্যালাইনের ল্যাব টেস্ট-এর রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই সংস্থার সমস্ত ওষুধ ও স্যালাইন রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করতে নিষেধ করা হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)