• ‘কন্যাশ্রী’র টাকা নিয়েও এ বার গরমিলের অভিযোগ, পুলিশের দ্বারস্থ ছাত্রীরা
    এই সময় | ১২ জানুয়ারি ২০২৫
  • দু’মাস আগেই ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। এ বার ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের টাকা নিয়েও গরমিলের অভিযোগ উঠল মালদা জেলায়। মানিকচক এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ জন ছাত্রী ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুলেছে। ওই বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদারের স্বাক্ষর ও স্ট্যাম্প জাল করে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ।

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে কন্যাশ্রী-১ (K1) আবেদন পূরণ করেন মোট ১০৪ জন ছাত্রী। এর পরের বছরই বেশ কিছু ছাত্রীর কন্যাশ্রী-২ (K2) আবেদনের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। চলতি মাসে কন্যাশ্রী-২ আবেদন পূরণ করতে গিয়ে বিষয়টি খেয়াল করে একাধিক ছাত্রী। তখনই স্কুলের দ্বারস্থ হয় তারা। ছাত্রীদের অভিযোগ, কন্যাশ্রীর টাকা ধরমপুরের বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্টে তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে ওই ছাত্রীদের দাবি সেখানে তাদের কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। 

    আবেদন পত্রে স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদারের স্বাক্ষর ও স্ট্যাম্প দেখা গিয়েছে। সুনন্দ মজুমদার বলেন, ‘এটা লকডাউনের সময়ের ঘটনা। স্কুলে কোনও পড়ুয়া আসেনি। আমার স্বাক্ষর বা স্ট্যাম্প কোনওটাই নয়। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’ স্থানীয় কোনও সিএসপি সেন্টার থেকে এটা করা হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে তিনিও অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন। 

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ‘২০২২ সাল পর্যন্ত পড়ুয়াদের পড়ুয়াদের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বিষয়টি দেখতেন সহকারি প্রধান শিক্ষক।  তাঁকেই টাকা নয়ছয়ের দায়িত্ব নিতে হবে। আমি ছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ সমস্ত নথি থানায় জমা দিলাম। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক।’

    জেলা স্কুল পরিদর্শক বাণীব্রত বসু বলেন, ‘এরকম একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’ ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে মানিকচক থানার আইসি সুবীর কর্মকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

  • Link to this news (এই সময়)