নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: প্রথমবার ভারতে আয়োজিত খো খো বিশ্বকাপের সঙ্গে জুড়ছে হুগলির নাম। রিষড়া ও ভদ্রেশ্বরের দুই প্রাক্তন খো খো খেলোয়াড় ওই প্রতিযোগিতায় রেফারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সারা বাংলা থেকে তিন জন রেফারি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তৃতীয়জন শিলিগুড়ির বাসিন্দা প্রতাপ মজুমদার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হুগলির রিষড়ায় খুশির আবহ তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে খেলার জগতে বারবার রিষড়ার বাসিন্দাদের সাফল্য এসেছে। সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে তপন দাসের নাম। রিষড়ার নতুনগ্রামের বাসিন্দা তপনবাবু ১৯৯৬ সালের এশিয়ান গেমস জয়ী ভারতীয় খো খো দলের সদস্য ছিলেন। আগামী ১৩ জানুয়ারি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি স্টেডিয়ামে ২৪টি দেশকে নিয়ে খো খো বিশ্বকাপের আসর বসবে।
বাম আমলে তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর কাছে চাকরির আবেদন করেছিলেন তপনবাবু। কিন্তু প্রত্যাখ্যানই জুটেছিল। ক্ষোভেখেলার মাঠকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি। উল্টে আরও জেদ নিয়ে খো খো খেলার মাঠে নেমে পড়েছিলেন। তপনবাবু বলেন, ‘সেদিন জেদ করেছিলাম বলেই আজ বিশ্বকাপের ময়দানে থাকতে পারছি। যাঁরা এতদিন ধরে আমাকে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন, সবাইকে এই সাফল্য উৎসর্গ করতে চাই। ইংল্যান্ড, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড, আর্জেন্তিনার মতো দেশ বিশ্বকাপে খেলতে আসছে। সেই মঞ্চে আমিও সক্রিয়ভাবে উপস্থিত থাকতে পারব, ভাবলেই শিহরণ হচ্ছে।’ আরও জানালেন, রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তবেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে যাওয়ার সুযোগ মিলেছে। তপনবাবু জানান, হুগলির ভদ্রেশ্বরের দিব্যেন্দু দাস এবং শিলিগুড়ির প্রতাপ মজুমদার—এই দু’জনও বাংলা থেকে বিশ্বমঞ্চে রেফারি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। বাংলার বর্তমান খো খো দলের (পুরুষ) প্রশিক্ষক তপনবাবু। জাতীয়স্তরেও প্রশিক্ষণের কাজ করেছেন। শুধু একটি চাকরি না পাওয়ার আক্ষেপ ছিল। বিশ্বকাপের মঞ্চে থাকার সুযোগ সেই বেদনার অনেকটাই উপশম করেছে বলে অকপটে জানালেন তিনি।