ভর্তি বাবদ নেওয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরানোর নির্দেশ আটটি স্কুলকে
বর্তমান | ১২ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: সরকার নির্ধারিত ২৪০ টাকা ভর্তি ফির বদলে জেলার কিছু স্কুল অতিরিক্ত ভর্তি ফি নিয়েছে। তারই প্রতিবাদে জেলার বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলন হয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রতিটি স্কুলকে নির্ধারিত ভর্তি ফির বেশি না নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে বেশ কিছু বিদ্যালয়ে বেশি ফি নিয়ে পড়ুয়া ভর্তি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এবার সেসব বিদ্যালয় চিহ্নিত করে বাড়তি টাকা পড়ুয়াদের ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল। সেই নির্দেশিকায় জেলার আটটি উচ্চবিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পড়ুয়াদের কাছ থেকে যে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে, তা তাড়াতাড়ি ফেরত দেওয়ার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিআই। রঘুনাথগঞ্জ হাইস্কুল, রঘুনাথগঞ্জ গার্লস হাইস্কুল, বহরমপুরের গোরাবাজার ঈশ্বরচন্দ্র ইনস্টিটিউট(আইসিআই), সৈয়দপুর ইউএন হাইস্কুল, মালডোভা পিকে হাইস্কুল, চকইসলামপুর এসসিএম হাইস্কুল, মণীন্দ্রনগর হাইস্কুল, নিমতলা হাইস্কুল নির্দিষ্ট ভর্তি ফি থেকে অনেক বেশি টাকা আদায় করেছে। ডিআই জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি পড়ুয়াদের অভিভাবকদের হাতে অতিরিক্ত ফি ফেরত দিতে হবে। সেই নির্দেশিকা ওই আটটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রঘুনাথগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল মণ্ডল বলেন, ভর্তি ফি বাবদ কিছু টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে। তবে ওই টাকা পড়ুয়াদের টাই, ব্যাজ ও আই কার্ড দেওয়া, গেস্ট টিচার, নিরাপত্তারক্ষী ও সুইপারদের বেতনের জন্য নেওয়া হয়েছিল। স্কুলের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সেজন্যও ১০০টাকা করে নেওয়া হয়েছে। তবে সেটাও বাধ্যতামূলক নয়। মালডোভা পিকে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদ বলেন, স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। কোনও বাড়তি টাকা নেওয়া হয়নি। ডিআই অফিস কেন নোটিস করেছে, তা জানি না। আইসিআই স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবক গৌতম ঘোষ বলেন, সরকার নির্ধারিত ফির তুলনায় অনেক বেশি টাকা নিয়েছে স্কুল। তবে সেটা প্রতিবারই নেওয়া হয়। স্কুলের নিরাপত্তা, বাগান, বিভিন্ন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে চালাতে কিছু অতিরিক্ত টাকা লাগে। যে পরিমাণ টাকা নেওয়া হয়, তাতে আমাদের খুব একটা আপত্তি থাকে না।