সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: ধূপগুড়িতে সরকারি ধান কেনাবেচায় দালাল চক্র সক্রিয়। ফলে ধান দিতে পারছেন না কৃষকরা। শনিবার ধূপগুড়ির কিষান মান্ডিতে পরিদর্শনে আসেন খাদ্যদপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি দল। আর তাঁদের দেখেই মান্ডি থেকে দৌড়ে পালায় দালালরা।
অভিযোগ, ধূপগুড়ির কিষান মান্ডিতে ধূপগুড়ি খাদ্যদপ্তর, প্রশাসনিক কিছু ব্যক্তি এবং মিল মালিকের একাংশের যোগসাজশে দালাল চক্র সংগঠিত হচ্ছে। ধান কেনায় যুক্ত ব্যক্তিদের কাছে থাকা মেশিন এখন বাড়ি বাড়ি নিয়ে ঘুরছে দালালরা। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে স্বল্প টাকা ঢুকিয়ে ধান কিনে নিচ্ছে তারা। পরে সেই ধান খাদ্যদপ্তরকে দিচ্ছে দালালরা। ধূপগুড়ির কিষান মান্ডির আশেপাশের পাঁচ ব্যক্তির হাত ধরেই এই চক্র সঙ্ঘটিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। মেশিনের দ্বারা টাকা লেনদেনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় এনএফটি। অভিযোগ, এই এনএফটির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। কিছুদিন আগে ঝুমুরে লটারির দোকানে বসেই এনএফটি করত এক ব্যক্তি। সে এই চক্রে জড়িত। প্রশ্ন উঠেছে, এদের হাতে এই মেশিন এল কীভাবে?
যদিও ব্লক প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তবে এই দালাল এবং মিল মালিকরা যে সরকারকে ফাঁকি দিচ্ছে তা শাসক এবং বিরোধী উভয়েই স্বীকার করেছে। পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দীপু রায় বলেন, কৃষকরা ধান দিতে পারছেন না। এদিকে দালালরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছে। তারা কৃষকদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা ঢুকিয়ে সরকারকে ফাঁকি দিচ্ছে। জেলা খাদ্যদপ্তরের আধিকারিক ডি ডব্লু লামা বলেন, দালালরা ধান কেনার মেশিন কোথা থেকে পেল এবং দালালচক্রের ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখা হবে।