• চোরাপথে সীমান্ত পেরতে গিয়ে ধৃত বাংলাদেশের একই পরিবারের পাঁচ
    বর্তমান | ১২ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: ফের বনগাঁয় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নাগরিক। চোরাপথে এদেশ থেকে ওদেশে ফেরার সময় বনগাঁ থানার পুলিস গ্রেপ্তার করে একই পরিবারের পাঁচজনকে। তাঁরা বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা। শনিবার সকালে পুলিস স্থানীয় রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম নান্নু মৃধা (৫০), তাঁর স্ত্রী আসমা মৃধা (৪৪) ও তিন মেয়ে আলিজা কুরসী (২৫), পূর্ণি মৃধা (২২), রিয়া মৃধা (১৯)। তাঁরা কেউই বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসার কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি।


    জানা গিয়েছে, নান্নুর স্ত্রী ও মেয়েদের কাছ থেকে এদেশের পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁরা সকলেই দিল্লিতে বিভিন্ন কাজে যুক্ত ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে আসমা মৃধা তিন মেয়েকে নিয়ে চোরাপথে এদেশে এসে দিল্লিতে আস্তানা গাড়েন। এক মেয়ের বিয়েও দেন। অনুমান করা হচ্ছে, এদেশে এসে টাকার বিনিময়ে তাঁরা জাল পরিচয়পত্র তৈরি করেন সকলেই। এদিন স্বামীর সঙ্গে বাংলাদেশের বাড়িতে ফেরার সময় পুলিস তাঁদের গ্রেপ্তার করে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নান্নু মৃধা কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকতেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। সেখান থেকে চোরাপথে ভারতে আসেন। এরপর পরিবার নিয়ে দেশে ফেরার সময় পুলিসের হাতে ধরা পড়েন। শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক নান্নুকে পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। বাকিদের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।


    বনগাঁ সীমান্তের বিস্তীর্ণ অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। সেখান দিয়ে প্রতিদিনই অনুপ্রবেশ ঘটছে। কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় পরস্পরকে দোষারোপ করেছে বিজেপি ও তৃণমূল। শনিবার এক অনুষ্ঠানে বনগাঁয় আসেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অনুপ্রবেশের জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করেন।
  • Link to this news (বর্তমান)