এই সময়,আলিপুরদুয়ার: রেজিট্রেশন না হওয়ায় এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা হচ্ছে না কালচিনির গারোপাড়া বিধানচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই পড়ুয়ার। ওই ঘটনার জন্য অভিভাবক ও জেলা শিক্ষা দপ্তর সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করেছে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের সাফাই, বারবার মনে করিয়ে দেওয়ার পরেও দুই পড়ুয়া সোহাতি ডুংডুং ও রোহিত মোঙ্গর সময়ে নির্দিষ্ট পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করেনি।
এদের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক ও শাসক দলের শিক্ষক সংগঠনের দ্বারস্থ হয়েছে। ওই বিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আহশানুল করিম বলেন, ‘গারোপাড়ার স্কুলের দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিই দায়ী। ওদের উচিত ছিল শেষ মুহূর্তে একবার রেজিস্ট্রেশনের তালিকা দেখে নেওয়া। তা না করায় এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।’
প্রকাশ বলেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি না থাকলে এই ঘটনা ঘটতে পারত না। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে অনুরোধ করেছি, যাতে ওই দুই পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করা যায়।’ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি ভাস্কর মজুমদারও একই সুরে বলেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। ওই দুই পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশনের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। দেখা যাক কি হয়। তবে এই ধরনের অবহেলা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।’
ঘটনায় ভেঙে পড়েছে সোহাতি ও রোহিত এবং তাদের অভিভাবকরা। যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে গারোপাড়া বিধানচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগেন্দ্রপ্রসাদ দাস বলেন, ‘দুই পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের বারবার রেজিস্ট্রশনের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তারা তা করেনি। তাই এই ঘটনার জন্য কোনওভাবেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যায় না।’