• বাড়ছে চাহিদা, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে রাজ্যের পকেটে ঢুকেছে ৭৯% বেশি টাকা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ জানুয়ারি ২০২৫
  • বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে আর্থিক লেনদেনের ফলে গত একবছরে ৭৯ শতাংশ রাজস্ব বেড়েছে রাজ্য সরকারের। এমনই দাবি করা হল রিপোর্টে। রাজ্য সরকারের দাবি, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে কোনও দালালচক্র সক্রিয় হতে পারছে না। এর ফলে সাধারণ নাগরিকরা উপকৃত হচ্ছেন। এরই সঙ্গে রাজস্ব আদায় বাড়ছে সরকারের। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের 'ই-ওয়ালেট' লেনদেন হয়েছিল ১৬৯ কোটি টাকার। ২০২৪ সালে সেই পরিমাণ বেড়ে ৩০৩ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ, একবছরেই তা ৭৯.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।


    বিএসকে দিয়ে এখন রাজ্য সরকারের ৪০টি দফতরের ৩০০টিরও বেশি পরিষেবা মিলছে। রাজ্যজুড়ে এখন কয়েক হাজার সহায়তা কেন্দ্র চালাচ্ছে সরকার নিজে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যে মোট ৩৫৬১টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু রয়েছে। আরও ১৪৩১টি নতুন বিএসকে চালু করবে নবান্ন। জমি-বাড়ির খাজনা, মিউটেশন খরচ, লিজ, বিদ্যুৎ বিল-সহ বিভিন্ন পরিষেবার টাকা মেটানো যাচ্ছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে। এই আবহে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে আর্থিক পরিষেবা খাতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে লেনদেন বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। এদিকে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে স্বাস্থ্য খাতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে লেনদেন বেড়েছে ৩৯ শতাংশ। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কৃষি খাতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে লেনদেন বেড়েছে ২১ শতাংশ। এছাড়া ২০২৪ সালে শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে লেনদেন বেড়েছে ৫৪ শতাংশ এবং সামাজিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে তা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ শতাংশ।


    এদিকে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে লেনদেন বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে রাজ্যে বাংলা সহায়তা ১.৩৯ কোটি মানুষও কোনও না কোনও পরিষেবা নিয়েছেন কেন্দ্রগুলিতে। বাড়ির সামনে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থাকলে সাধারণ মানুষ দূরের সরকারি অফিসে না গিয়েই নিজের কাজ মেটাতে পারছেন। এতে সময়, যাতায়াতের খরচ বেঁচে যাচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই দালালচক্রের হাত থেকেও রক্ষা মিলছে। এই আবহে বিভিন্ন জায়গায় আরও বেশি করে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র তৈরির চাহিদা বাড়ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)