• ১২ দিন পার বাগে আসেনি বাঘিনী! ঘরবন্দি আতঙ্কিত মানুষজন, চিন্তায় বনদপ্তর...
    ২৪ ঘন্টা | ১২ জানুয়ারি ২০২৫
  • মনোরঞ্জন মিশ্র: বাঘকে বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছে ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ। পরপর ১২ দিন পার হয়ে গেলেও খাঁচাবন্দী করা যায়নি বাঘকে । সমস্ত চেষ্টায় বিফলে যাচ্ছে বন দপ্তরের । বাঘের গলায় রেডিও কলার না থাকায় গতিবিধি জানতে হিমশিম খাচ্ছে ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ। দিনের পর দিন ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসোঁওয়া বনবিভাগের চান্ডিল, চৈনপুর, বালিডি, দলমা, চৌকা বনাঞ্চল সহ একাধিক জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ মিলছে । প্রতিদিনই ১০-১২ কিমি হেঁটে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছে ওই বাঘ। 

    কখনও সেই বাঘ ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে বলে দাবি জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের। আর এতেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ঝাড়খন্ড বনদপ্তরকে। ঝাড়খণ্ডের ১৩৫ টিরও বেশি গ্রামে জারি হয়েছে সতর্কতা। জঙ্গলে বসানো হয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরা । ড্রোনের মাধ্যমে বাঘের গতিবিধি লক্ষ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বন বিভাগ । বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বন কর্মীদের টিম । ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (WII) টিম, সরাইকেলা- খরসোঁওয়া, পূর্ব সিংভূমের জামশেদপুর, খুঁটি বনবিভাগ, দলমা মিলিয়ে প্রায় ৭-৮ জন ডিএফও পদমর্যাদার আধিকারিক, পালামৌ টাইগার রিজার্ভের বাঘ বিশেষজ্ঞরা একজোট হয়ে সেই বাঘকে বাগে আনার চেষ্টা চালালেও সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে পড়ছে । আতঙ্কের রাত কাটাচ্ছেন জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। 

    চিন্তা বাড়াচ্ছে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া পুরুলিয়া বনবিভাগকেও। তবুও আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে পুরুলিয়া বন দপ্তর । সীমান্ত এলাকায় চলছে পেট্রলিং। পুরুলিয়ার বিভিন্ন রেঞ্জ আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে এই মর্মে একাধিকবার বৈঠক করেছে পুরুলিয়ার বন বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বাঘের গতিবিধির উপর নজর রাখার পাশাপাশি প্রতিদিন রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে রাজ্যের অরণ্যভবনে। কোথায় বাঘ? এখনও ধোঁয়াশা চারিদিকে। এই বাঘ কবে বাগে আসবে? মানুষের আতঙ্ক কবে কাটবে সেদিকেই তাকিয়ে সকলেই।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)