ফের খড়্গপুর আইআইটিতে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু। রবিবার সকালে রুমের ভিতর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ওই ছাত্রের নাম শাওন মালিক (২১)। জানা গিয়েছে, কলকাতায় বাড়ি তাঁর। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি।
খড়্গপুর আইআইটি এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা টিম ও মেডিক্যাল টিম পৌঁছয়। পুলিশকে জানানো হয়। পরিবার ক্যাম্পাসেই রয়েছে। কর্তৃপক্ষ তদন্তে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করছে।
তিন বছর ধরে এখানে পড়ছেন তিনি। আইআইটি খড়্গপুরের আজাদ হলের ৩০২ নম্বর রুমে থাকতেন। সূত্রের খবর, রবিবার তাঁর বাবা, মা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। তাঁরাই প্রথম এই ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে খবর। যদিও এখনও পরিবারের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে এ ঘটনা আত্মহত্যা নাকি খুন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি জানান, তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেশের মধ্যে তো বটেই বিশ্বের দরবারেও খড়্গপুর আইআইটির খ্যাতি। সেখানে পড়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা। কিন্তু গত কয়েক বছরে এখানে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর অসমের তিনসুকিয়ার ফয়জান আহমেদের রহস্যমৃত্যু নিয়ে আজও ধোঁয়াশা রয়েছে।
ঠিক তার পরের বছর ২০২৩ সালে অক্টোবরে কে কিরণ চন্দ্রা নামে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুন মাসে দেবিকা পিল্লাই নামে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কেরলের চিপ্পড় থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন দেবিকা।