• শুরু হলো বৈদ্যবাটি বইমেলা, কৃতীদের স্মরণ
    এই সময় | ১২ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, বৈদ্যবাটি: শেওড়াফুলি–বৈদ্যবাটি যুগ্ম শহরের গর্বের সন্তান, শব ব্যবচ্ছেদের নায়ক পন্ডিত মধুসূদন গুপ্ত। এই শহরের বুকে বসেই প্যারিচাঁদ মিত্র( টেকচাঁদ ঠাকুর) বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস ‘আলালের ঘরের দুলাল’ রচনা করেন। শহরের কৃতী সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়েই গঙ্গার পশ্চিম তীরের শহর বৈদ্যবাটিতে শুরু হল বইমেলা। শনিবার বৈদ্যবাটি বিএস পার্কে শহরের প্রথম বইমেলার সূচনা করেন কবি জয় গোস্বামী। ছিলেন চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁই, বৈদ্যবাটি পুরসভার পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সুবীর ঘোষ, অমৃত ঘোষ ও নমিতা মাহাতো।

    বৈদ্যবাটি বইমেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে গান, পুষ্প প্রদর্শনীর মেলা হলেও বইমেলা কখনও হয়নি। বইপ্রেমীদের অনেক দিনের প্রত্যাশা পূরণ হতেই প্রথম দিনের শুরুতেই মেলায় মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ১১ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বৈদ্যবাটি বইমেলা।

    দুপুর ২ টো থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বলেন, ‘মধুসূদন গুপ্ত শব ব্যবচ্ছেদ করে সারা ভারতের বুকে আলোড়ন ফেলেছিলেন ১৮৩৬ সালের ১০ মার্চ। তিনিই এশিয়া মহাদেশের বুকে প্রথম ভারতীয়, যিনি মানুষের শব ব্যবচ্ছেদ করেছিলেন নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে। যা করতে সাহস পাচ্ছিলেন না স্বয়ং ইংরেজ ডাক্তাররাও। তাঁর এই ঐতিহাসিক কাজকে স্বীকৃতি প্রদান করতে ফোর্ট উইলিয়াম থেকে তোপ দাগা হয়েছিল।’ সেই ব্যাক্তিত্বকে স্মরণ করা হয় এ দিনের মেলায়।

    পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো বলেন, ‘এই শহরের নগর গ্রন্থাগারে কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য চর্চা করেছেন দীর্ঘ কাল। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বৈদ্যবাটি শহরের অন্যতম গুণী সন্তান, শ্রী নৃপেন চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বসে সভা করেছেন। সেই কৃতীদের নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরাও এই মেলার অন্যতম লক্ষ্য।’

    বইমেলার প্রধান উদ্যোক্তা সুবীর ঘোষ বলেন, ‘দেড়শ বছর পালনের মধ্য দিয়ে পুরসভা নিজের গৌরবকে তুলে ধরেছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে ইতিমধ্যেই শহর পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে সেরার শিরোপা পেয়েছে। এ বার বইমেলার মধ্য দিয়ে বৈদ্যবাটির মুকুটে নতুন পালক সংযোজিত হল।’

  • Link to this news (এই সময়)