• সাতদিন পর মুর্শিদাবাদে উদ্ধার মালদহের নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর দেহ, শোকের ছায়া পরিবারে ...
    আজকাল | ১২ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাতদিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে রবিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার শঙ্করপুর এলাকায় ফিডার ক্যানেল থেকে উদ্ধার হল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর দেহ। গত ৫ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের হয়ে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যাওয়ার পথে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান মালদহের বারোদুয়ারি এলাকার বাসিন্দা দীপ্তি ভকত নামে বছর ২০-র ওই ছাত্রী। 

    জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানান, 'আজ দুপুর নাগাদ নিখোঁজ ওই ছাত্রীর দেহ ফিডার ক্যানেলের জলে ভেসে উঠেছে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকেদেরকে গোটা ঘটনাটির খবর জানানো হয়েছে।' মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা দীপ্তি ভকতকে তাঁর বাড়ির লোকেরা ঝাড়খণ্ডের দুমকায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি করিয়েছিলেন। গত ৫ জানুয়ারি মালদহ থেকে ট্রেনে করে রামপুরহাটের উদ্দেশে যাত্রা করেন দীপ্তি। সেখান থেকে ট্রেন বদলে তাঁর ঝাড়খণ্ডের দুমকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে দীপ্তি সেদিন ট্রেনে বসার পরও নিজের কলেজে যাননি। পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে তৈরি হওয়া একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে একটি মেসেজ পোস্ট করে নিখোঁজ হয়ে যান দীপ্তি। 

    ওই দিনই দুপুর নাগাদ মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা এনটিপিসি ফাঁড়ির পুলিশ দীপ্তির মোবাইল ফোন, ব্যাগ এবং অন্যান্য কিছু সামগ্রী পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ব্যাগের মধ্যে থাকা পরিচয় পত্র এবং মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ দীপ্তির বাড়ির লোককে ব্যাগ উদ্ধারের ঘটনার খবর জানায়। সেইদিনই দীপ্তির বাড়ির লোকেরা ফরাক্কায় এসে উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্রগুলো নিয়ে যান এবং হরিশ্চন্দ্রপুরে থানায় দীপ্তির নিখোঁজ ডায়রি করেন। 

    এই ঘটনার দু'দিন পর গত ৭ জানুয়ারি ফরাক্কা থানার পুলিশ ফিডার ক্যানেলের বিভিন্ন এলাকায় ডুবুরি নামিয়ে ওই ছাত্রীর সন্ধানে তল্লাশি চালালেও সেদিন তাঁর খোঁজ মেলেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর একটা নাগাদ ফরাক্কার শঙ্করপুর ফেরিঘাটের কাছে এক নৌকা চালক জলের মধ্যে ওই ছাত্রীর দেহটি ভেসে যেতে দেখেন। এরপর দেহটিকে শঙ্করপুর ফেরিঘাটে নিয়ে আসা হয়। 

    সূত্রের খবর, দীপ্তি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তাঁর দাদু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থাতেই গতকাল গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের লোকেরা যখন তাঁর অন্তুষ্টিক্রিয়াতে ব্যস্ত, সেই সময়ে দীপ্তির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবার জুড়ে।
  • Link to this news (আজকাল)