সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আশঙ্কাই সত্যি হল। ঝাড়খণ্ডের দলমা রেঞ্জ হয়ে জিনাতের পুরুষসঙ্গী এখন পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে। রবিবার সকালে জিনাতের ফেলে যাওয়া ডেরা রাইকা পাহাড়ের কাছে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগে বান্দোয়ান ১ বনাঞ্চল যমুনাগোড়ায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পায়ের ছাপ দেখা যায়। আর একটু এগিয়ে ঝাড়গ্রামের বাঁশপাহাড়ি রেঞ্জের মৈনাকডিতে পায়ের ছাপ দেখা যায়। ফিরতি পথে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে মনে করা হচ্ছে, এরপর আবার ঘুরে যমুনাগোড়ার দিকে ফিরে আসে বাঘটি।
ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন দলমার কোর এলাকায় ছিল। বাফার জোনে এসে শুক্রবার রাতে চিমটি ও পাগদায় চলে আসে। সেখানে পাওয়া যায় পায়ের ছাপ। শনিবার দলমা রেঞ্জে চিমটি, পাগদা, নাইলম, গোবরঘুসি, ঝুঝকায় ১২টি ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগানো হয়। বাঘটি চিমটি থেকে বাংলায় প্রায় ১২ কিমি হেঁটে ঢুকেছে বলেই খবর। বান্দোয়ান ১ বনাঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছেন কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও পূরবী মাহাতো, পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ। ঝাড়গ্রামেও শুরু হয়েছে নজরদারি। সেখানেও উপস্থিত রয়েছেন ডিএফও।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খারসওয়া বনবিভাগের চাণ্ডিল রেঞ্জের চৌকা থানার তুলগ্রামে গরুর উপর হামলা চালায়। নিখোঁজ হয়ে যায় বাছুর। পাওয়া যায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পায়ের ছাপ। কখনও দলমা পাহাড় রেঞ্জ, চাণ্ডিল রেঞ্জ, রাঁচি-জামশেদপুর হাইওয়ে, ঝাড়খণ্ডের বিখ্যাত গোলচক্রের কাছে পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছিল। ঝাড়খণ্ডের তামার বনবিভাগের খুঁটি রেঞ্জেও পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। টানা ১২দিন লুকোচুরি খেলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এই কয়েকদিনে প্রায় ৪০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে ঘুরেছে বাঘটি। খাবার খেয়েছে কিনা, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বনদপ্তরের কর্মীরা। কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও পূরবী মাহাতো বলেন, “ঝাড়খণ্ডে থাকা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পদচিহ্ন বান্দোয়ানে পাওয়া গিয়েছে। যা যা পদক্ষেপ করার তা আমরা করেছি।”