কলেজ যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছিলেন সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী। আট দিন নিখোঁজ থাকার পর তাঁর পচা গলা দেহ ভেসে এলে ফরাক্কায় গঙ্গার ঘাটে। মালদার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, খুন নাকি আত্মহত্যা, নাকি নিছক দুর্ঘটনা? বাড়ছে রহস্য। মালদার ২০ বছর বয়সি ওই ছাত্রীর দেহ রবিবার ফরাক্কার শঙ্করপুর ঘাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, শনিবার অর্থাৎ ১১ ফেব্রুয়ারি অচেনা ফোন নম্বর থেকে মেসেজ করে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয় পরিবারের রাছে। আর তার এক দিনের মধ্যেই এই ঘটনা। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিহত তরুণীর জেঠু বলেন, ‘এ রকম হবে ভাবতে পারিনি। ওর মায়ের সঙ্গে রাত সাড়ে ৮টায় সে দিন কথা হয়। তখনও বলেছিল, মালদায় নেমে টিফিন করবে, রামপুরহাটে গিয়ে ভাত খাবে! কী ভাবে এটা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হোক। নিশ্চয়ই কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।’
পারিবারিক কোনও টানাপোড়েন ছিল না বলেই দাবি করেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তেন ওই ছাত্রী। নিহতের জেঠুর দাবি, দুমকায় ফেরার আগের দিনও, অনেক কিছু কেনাকাটা করেন।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় বাড়ি ওই তরুণীর। ৫ জানুয়ারি রবিবার কুলিক এক্সপ্রেস ধরে কলেজে দুমকা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হন। কুলিক এক্সপ্রেসে রামপুরহাট পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল, সেখান থেকে ট্রেন ধরে দুমকা।
কিন্তু পরে ফোন আসে বাড়িতে। জানানো হয়, ফরাক্কা ব্রিজের উপর থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। সেই ব্যাগ এনটিপিসি ফাঁড়িতে জমাও পড়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকেরা। কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি।