ফের সেই ঝাড়গ্রাম। জ়িনাতের পর আরও একটি বাঘ ঢুকে পড়ল রাজ্যে। বাংলার সীমানা পেরিয়ে বাঘ প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বন দপ্তর। এআই ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। বাঘের উপস্থিতির বিষয়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রবিবার সকালে বেলপাহাড়ি থানার অন্তর্গত বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মনিয়ার্ডি ও চিটামাটি গ্রামের মধ্যবর্তী জঙ্গলের রাস্তায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। এছাড়াও জঙ্গলে কুরকুট (লাল পিঁপড়ে) সংগ্রহ করতে যাওয়া গ্রামবাসীরাও দাবি করেন তারা বিশালাকৃতি একটি পশু দেখতে পেয়েছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই গুরুত্ব সহকারে দেখে বন দপ্তর। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন দপ্তরের কর্মীরা।
ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ডিএফও ওমর ইমাম বলেন, ‘পায়ের ছাপ দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি পুরুষ বাঘ। বাঘটি কোথা থেকে এসেছে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। বাঘের গতিবিধির উপর সব সময় নজর রাখা হবে। রাস্তা পারাপারের সময় আমরা বিশেষ করে নজর রাখছি। কারণ জ়িনাতের মতো এর গলায় রেডিয়ো কলার নেই।’
বন দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, চারদিকে যে সীমানা রাস্তা রয়েছে তা চেকিং করা হচ্ছে। বাঘ কোন রাস্তা দিয়ে গিয়েছে তা জানতে ৫টি ট্র্যাপ ক্যামেরা এবং তিনটে এআই ক্যামেরা বসানো হয়েছে এলাকায়। গ্রামবাসীদের মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ধীরেন মুর্মু বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজন জঙ্গলের মধ্যে কুরকুট সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। তখন আমি দেখেছি জঙ্গলের মধ্যে একটি বড় জন্তু। আমার দেখে মনে হয়েছে এটা বাঘ। গায়ের রংটা হালকা লাল রয়েছে। দেখার পরে জঙ্গল থেকে আমরা ছুটে পালিয়ে যাই।’ ডিএফও আরও জানিয়েছেন, জ়িনাত থাকাকালীন যে ভাবে প্রতিদিন সকালে গ্রামগুলিকে চিহ্নিত করে সতর্ক করা হতো, সেই ভাবেই সতর্ক করা হবে এবং প্রতিনিয়ত মাইকিংও করা হবে। গ্রামবাসীদের জঙ্গলে যেতে মানা করা হয়েছে।