এখন তো কিউআর কোডেরই জমানা। পেমেন্ট থেকে ঠিকানা, একটা স্ক্যানেই সবটা ‘Done’। সেই কিউআর কোড বসল গাছের গায়ে। এ বার থেকে, বৃক্ষ তোমার নাম কী-র জবাব পেতে কিউআর কোড স্ক্যান করলেই হবে। সে নিজেই জানাবে ‘পরিচয়’। ফরাস ডাঙা চন্দননগরে রবিবার থেকে শুরু হল তা।
কিউআর কোড স্ক্যান করলে গাছ নিজেই তার পরিচয় দিচ্ছে, তুলে ধরছে নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও। মাস চারেক আগে এই কাজ শুরু করেছিল চন্দননগর পুরসভা। রবিবার থেকে গাছ বলছে গাছের কথা।
চন্দননগর পুরসভার বায়োডাইভার্সিটি ডিপার্টমেন্ট-এর উদ্যোগে এই কাজ করা হয়েছে। চন্দননগর স্ট্র্যান্ড রোডে গভর্মেন্ট কলেজের সামনে গঙ্গার পাড়ে অনেক প্রাচীন গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছের আলাদা কিউআর কোড। স্থানীয় মানুষ থেকে পর্যটক, সেই কিউআর কোড স্ক্যান করে জানতে পারবেন গাছের পরিচয়। গাছটি কোন প্রজাতির, কত বয়স, কী উপকারিতা , কোথায় কোথায় পাওয়া যায়, যাবতীয় তথ্যই জানা যাবে।
প্রাথমিক ভাবে চন্দননগর পাতাল বাড়ি থেকে স্ট্র্যান্ড ঘাট ও বড়বাজার লাগোয়া এলাকায় ২৪৯টি গাছের পরিচয় পত্র তৈরি হয়েছে। রবিবার ১২ জানুয়ারি ১২টি গাছের কিউআর কোড আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী। চন্দননগর রানিঘাটে ৩০০ বছরের প্রাচীন একটি বট গাছের কিউআর কোড স্ক্যানও করেন তিনি।
মেয়র রাম জানান, চন্দননগরের অনেক ইতিহাস। এখানে নিয়মিত বিদেশিরাও আসেন। অনেকে প্রাচীন এই গাছগুলি সম্পর্কে জানতে চান। এই ব্যবস্থায় তাঁরা উপকৃত হবেন।