কন্যাশ্রীর টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে, মানিকচকের ঘটনায় চাঞ্চল্য...
আজকাল | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্যাব দুর্নীতির পর এবার সামনে এল কন্যাশ্রী দুর্নীতি। একাধিক ছাত্রীর নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল মানিকচকের এনায়েতপুর উচ্চ-বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২১ সালে মোট ১০৪ জন ছাত্রী কন্যাশ্রীর জন্য আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৪২ জন ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে ধরা পড়েছে জালিয়াতি। ১২ জন ছাত্রী এই ঘটনা জানতে পেরেই দ্বারস্থ হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ বাদিউজ জামানের। দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের অনুমোদনেই এই জালিয়াতি করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসতেই ১২ জন ছাত্রীকে নিয়ে এদিন মানিকচক থানায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক। তিনি জানান, ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কন্যাশ্রী এবং স্কলারশিপের নোডেল অফিসার ছিলেন সুনন্দ বাবু। তাঁর অনুমোদন ছাড়া এই সমস্ত আবেদন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাঁর সই রয়েছে প্রত্যেকটি অনুমোদনে, ছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও জালিয়াতি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২ জন ছাত্রী বিষয়টি জানালেও সংখ্যাটা বাড়তে পারে। দশম শ্রেণীর ছাত্রী পায়েল খাতুনের অভিযোগ, ২০২০ সালে আবেদন করেছিলাম কন্যাশ্রীর। বর্তমানে আমাদের বয়স পূর্ণ হওয়ায় খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি আমাদের টাকা ২০২১ সালেই তুলে নেওয়া হয়েছে। একটি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের সই রয়েছে আবেদনে। থানায় অভিযোগ জানিয়ে সরকারি প্রকল্পের টাকা ছাত্রীদের পাইয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ জমা পড়েছে বিডিওর কাছেও। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার। তাঁর দাবি, প্রধান শিক্ষক যোগদান করার পর তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন না। তিনি জানান, ‘কন্যাশ্রীর চাকা অনুমোদনের যে সমস্ত সই রয়েছে তা পুরোটাই জাল। বিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক কর্মী লিটু মোমিন এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। বিষয়টি লিখিতভাবে আমি ব্লক এবং পুলিশকে জানিয়েছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় আমি তুলে ধরায় সেই আক্রোশ থেকেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। আমি সঠিক তদন্ত চাই, দরকারে আমার সই যাচাই করা হোক’।