• স্বামী ছিলেন গরিবের চিকিৎসক, তাঁর স্মৃতিতে বসতবাড়ি সাধারণ মানুষের জন্য দান করলেন স্ত্রী...
    আজকাল | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • মিল্টন সেন: বরাবর পরিচিতি ছিল মানবদরদি, গরিবের চিকিৎসক হিসেবেই বিখ্যাত ছিলেন ডাক্তার গৌরীশঙ্কর সুর। চুঁচুড়া শুঁড়িপাড়ায় তাঁর বাড়ি 'মৈত্রী ভবন'-এ চেম্বার করতেন। শুরু থেকেই মাত্র দু'টাকায় রোগী দেখতেন প্রখ্যাত এই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। ২০০৮ সালে তাঁর প্রয়াণ হয়। সম্প্রতি সেই বাড়ির একতলা চুঁচুড়া শ্রমজীবী স্বাস্থ্যপ্রকল্প সমিতিকে দান করেছেন চিকিৎসকের স্ত্রী শ্যামলী সুর। দান করা বাড়ির ওই অংশে জনস্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র তৈরি হবে। আগামী দিনে সাধারণ মানুষ ওখানে মাত্র ১১ টাকার  বিনিময়ে চিকিৎসা পাবেন। 

    রবিবার চুঁচুড়া শ্রমজীবী স্বাস্থ্য প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হল শুঁড়িপাড়ায়। ডাক্তারবাবুর স্ত্রী শ্যামলী দেবী বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। শুঁড়িপাড়ার বাড়ির একতলায় বসে দীর্ঘ সময় চিকিৎসা করেছেন ডাঃ সুর। রবিবার সেই বাড়িতেই বহির্বিভাগ চালু হল শ্রমজীবী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। এখানে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যেমন দেখবেন, তেমনই ইসিজি, ফিজিওথেরাপি ইত্যাদি পর্ষেবার সুবিধা মিলবে। আগামী দিনে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, এক্সরে-সহ নানা পরিষেবা মিলবে। এদিন চুঁচুড়া শ্রমজীবীর সহ-সভাপতি অমল রায় বলেছেন, ''বৃহত্তর শ্রমজীবী পরিবারের তিনি একজন সদস্য। চুঁচুড়া শ্রমজীবী সেবা প্রকল্পের প্রথম ইউনিটটি পাঁচ বছর আগে চালু হয়েছিল রাম মন্দির এলাকায়। সেখানে মাসে প্রায় ১০০টি চেম্বার হয়। বহু মানুষ উপকৃত হন। এবার দ্বিতীয় ইউনিটটি চিকিৎসক গৌরীশঙ্কর সুরের বাড়িতে চালু হল। এখানেও সবরকম রোগের চিকিৎসা করবেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা।'' তিনি আশাবাদী, চুঁচুড়া শহরবাসীর সাহায্য অনুদান এবং সহযোগিতায় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র আগামী দিনে আরও অনেক উন্নতি করবে।

    ডাক্তারবাবুর আত্মীয় স্মিতধী গাঙ্গুলী বলেন, ''সেই সময় চুঁচুড়া শহরের অত্যন্ত নামী শিশু চিকিৎসক ছিলেন ডাঃ সুর। কিন্তু তিনি বরাবর মানুষের সেবা করে গিয়েছেন। তাঁকেও ছোটবেলায় দু'বার প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন। তাঁর স্মৃতিতে তাঁর মাসি এই বাড়ি দিয়েছেন। যেখানে মানুষের উপকার হবে।''

    শ্যামলী সুর বলেছেন, মানুষ হিসাবে মানুষের জন্য তিনি কাজ করছেন। মানুষ আরও মানবিক হোক। ভাল কাজে এগিয়ে আসুক এটাই তিনি চান।

    ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)