• গত বছরের চেয়ে বেশি জনসমাগম গঙ্গাসাগরে, পুণ্যার্থীদের জন্য কী কী সুবিধা থাকছে সেখানে, জানালেন মন্ত্রী অরূপ...
    আজকাল | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যস্নান সারতে লাখো লোকের জনসমাগম হতে চলেছে গঙ্গাসাগরে। এই বছর গতবারের থেকে বেশি পুর্ণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে আসবেন বলে আশাবাদী রাজ্য প্রশাসন। এ বছর পুণ্যস্নানের সময় ১৪ তারিখ, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে ১৫ জানুয়ারি, বুধবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। আগত সকল পুণ্যার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে একাধিক ব্যবস্থা করেছে মেলা কমিটি। 

    রবিবার বিকেলে মেলা কমিটির অফিসে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পুলক রায়, বঙ্কিম হাজরা, মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। বৈঠকে অরূপ জানান, ১ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৪২ লক্ষ পুর্ণ্যার্থী এসেছেন গঙ্গাসাগরে। পুণ্যার্থীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী। 

    পুণ্যার্থীদের জন্য কিছু বিশেষ পরিষেবা চালু করা হয়েছে এ বছর। অরূপ জানান, গঙ্গাসাগরে এসে স্নান করেছেন এমন পুণ্যার্থীরা চাইলে সার্টিফিকেট পাবেন। যার নামকরণ করা হয়েছে বন্ধন। সম্পুর্ণ বিবামুল্যে পাওয়া যাবে এই সার্টিফিকেট। মেলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মিলবে কিউআর কোড স্ক্যান করলেই। বয়স্ক ও শিশুদের জন্য থাকছে ই-পরিচয়পত্র। যেখানে পুণ্যার্থীর সমস্ত তথ্য দেওয়া থাকবে। এ বারে মেলার বাড়তি আকর্ষণ সাগরতট ও মন্দির চত্বরে বিশেষ আলোকসজ্জা। তিন দিনব্যাপী গঙ্গাআরতি করা হবে। যা শুরু হয়েছে ১১ তারিখ থেকে। এ ছাড়াও নানা ধর্মীয় সংগঠন এখানে আধ্যাত্মিক ও শান্তির বার্তা দিচ্ছে।

    মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য মোট ২১টি জেটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও ২২৫০টি সরকারি এবং ২৫০টি বেসরকারি বাস, ৯টি বার্জ,  ৩২টি ভেসেল ও ১২০টি লঞ্চের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি উন্নততর যাত্রীনিবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

    এবার জোর দেওয়া হয়েছে মেলার নিরাপত্তায়। বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুলিশ, প্রশাসন, মেলা কমিটি মিলে যৌথভাবে কাজ করছে ও নজরদারি চালাচ্ছে বলে জানান অরুপ। মেলায় ১৩ হাজার পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। ৪৪টি ওয়াচ টাওয়ার, ১৮টি অ্যান্টিক্রাইম পেট্রোলিং টিম, ১৮টি মিসিং পার্সন স্কোয়াড, দু'টি স্নিফার ডগ-সহ একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণেও একাধিক ব্যবস্থা করেছে মেলা প্রশাসন।

    সক্রিয় রয়েছে পুলিশ প্রশাসনও। ছিনতাই রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিভিন্নভাবে চলছে নজরদারি। এখনও পর্যন্ত ২২টি পকেটমারি ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছে। যার মধ্যে ১৮টি ক্ষেত্রে উদ্ধার করা হয়েছে খোয়া যাওয়া জিনিস। দুষ্কৃতিমূলক কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১০৬ জন তীর্থযাত্রী যারা হারিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ১০৩ জনকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের মধ্যে অবধেশ তিওয়ারি (৫৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এছাড়া তিনজন অসুস্থ হওয়ায় তাঁদেরকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অরূপ। 
  • Link to this news (আজকাল)