• শিশুদের রিডিংয়ের অভ্যেস বাড়াতে বানান প্রতিযোগিতা
    বর্তমান | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: চতুর্থ শ্রেণিতে উঠেও ঠিকমতো বাংলা রিডিং পড়তে পারছে না পড়ুয়ারা। মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঢুঁ মারলেই এই ছবি ধরা পড়ে। পড়াশোনার এই মান উদ্বিগ্ন করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তরকে। পড়ুয়াদের ভালোভাবে রিডিং পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে প্রতিটি বিদ্যালয়ে। রিডিং পড়া ও বানান ঠিক রাখার জন্য তাই এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রবিবার বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুলে জেলার ৪১টি চক্রের প্রায় ৮০টি বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিয়ে একটি রিডিং কম্পিটিশনের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি পড়ুয়ারা যাতে নির্ভুল বানান লিখতে পারে সেজন্য বানান প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা, সমগ্র শিক্ষা মিশনের জেলা আধিকারিক এশা ঘোষ, জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অপর্ণা মণ্ডল সহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। 


    শিক্ষক, শিক্ষিকাদের মতে, যে শিক্ষার্থী যত দ্রুত শুদ্ধভাবে রিডিং পড়তে পারে, সে পরীক্ষার সময়ে তত নির্ভুলভাবে লিখতেও সক্ষম হয়। রিডিং পড়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। তা সে বাংলা বা ইংরেজি যে কোনও বিষয়ই হতে পারে। শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্ক যত দ্রুত একটি বর্ণ ধরতে পারে বা সেই সঙ্গে উচ্চারণ করতে পারে, তার ওপর নির্ভর করে তার দক্ষতা কতটুকু। দুঃখজনকভাবে প্রাথমিক শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের রিডিং পড়ায় দুর্বলতা থেকে যাচ্ছে। 


    সভাধিপতি বলেন, একটি শিশু যখন তার শিক্ষাজীবন শুরু করে, তখন কিন্তু প্রথমেই পড়তে শেখে। এরপর আসে লেখা। ধীরে ধীরে সে মুখে বলে এবং লিখতে পারে। একজন প্রাথমিক শিক্ষার্থী মূলত যে দুই ধরনের যোগ্যতা অর্জন করে তা হল পড়তে পারা এবং লিখতে পারা। তাই পড়ার অভ্যাস আগে তৈরি করতে হবে। ভালো রিডিং পড়তে হবে বই দেখে। শিশুরা যাতে বই পড়ার অভ্যাস ফিরে পায় সেজন্য এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিশু শ্রেণি থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিনব শিক্ষা পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন। এই ধরনের প্রতিযোগিতা তারই একটি অঙ্গ। বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, পাঁচটি মহকুমায় ৪১টি সার্কেল থেকে দুই-একটি করে বিদ্যালয় এখানে অংশ নিয়েছে। প্রাথমিকের বাচ্চাদের বই পড়ার প্রতি উৎসাহ বাড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা সম্প্রতি শিক্ষক শিক্ষিকাদের ট্রেনিং দিয়েছি। সেখানেও এই ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে। খুব ছোট থেকে মোবাইল হাতে নিচ্ছে বাচ্চারা। বাচ্চাদের বিভিন্ন স্টোরি টেলিং ও বানানের সমস্যা হচ্ছে। তাই এদিন এখানে এইসব বিষিয়ে কম্পিটিশন হয়েছে। এই মেলায় একটি রিডিং কর্নার করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী ৪০০ পড়ুয়ার প্রত্যেকের হাতেই একটি করে বই দেওয়া হবে। যাতে তারা বাড়িতে বই পড়া অভ্যাস করতে পারে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)