• পুনর্মিলনী উৎসবে মাতলেন বোলপুরের পঞ্চাশোর্ধ সহপাঠীরা‌
    বর্তমান | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: ১৯৯১ সালে দিয়েছিলেন মাধ্যমিক। ‌তারপর ১৯৯৩ সালে উচ্চমাধ্যমিকও একসঙ্গেই। তাঁরা প্রত্যেকেই বোলপুর নিচুপট্টি নীরদবরণী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। উচ্চশিক্ষার পর পেশাগত কারণে দেশ ও রাজ্যের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন বন্ধুরা। বর্তমানে তাঁদের কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ বিজ্ঞানী। সারা বছর যে যার পেশায় ব্যস্ত থাকেন। তবে জানুয়ারিতে তাঁরা একত্র হয়েছেন। পিকনিকের মাধ্যমে মিলিত হয়েছেন পুনর্মিলনী উৎসবে। এবছরও যার অন্যথা হল না। রবিবার সেই সহপাঠীরা একসঙ্গে পিকনিকের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন বোলপুরের মুলুকে। দিনভর খাওয়া-দাওয়া, গল্প-আড্ডা, হৈ-হুল্লোড়ে করে খুশিতে কাটল পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে। সকলেরই বয়স প্রায় পঞ্চাশোর্ধ। তবে বয়স যে একটা সংখ্যা মাত্র, তা তাঁদের উদ্দীপনা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। ক্লাসের বেঞ্চের পুরনো বন্ধুদের ফিরে পেয়ে সকলেই আনন্দে আত্মহারা হন। 


    ৩১ বছর ধরে বন্ধুত্ব। ‌স্কুলের সেই চেহারাটিও নেই। তবে, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়ে গিয়েছে।‌ তারপর গতবারের মতো এবারও তাঁরা একসঙ্গে বোলপুরের মুলুকে পিকনিকের মাধ্যমে দিনভর স্মৃতি রোমন্থন করলেন। তাঁদের একজন সঞ্জয় মজুমদার বর্তমানে ভাবা এটোমিক রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী। আর এক বিজ্ঞানী দেবদূত রায়, সৌদি আরবিয়ান বেসিক ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশনের বেঙ্গালুরু শাখায় কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া সাংবাদিকতায় রয়েছেন সুজিত মণ্ডল, বোলপুর আদালতের আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছেন গৌতম সরকার। এছাড়াও শুভব্রত রায়চৌধুরী পেশায় ‌বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব। বন্ধুদের একসঙ্গে পেয়ে ব্যবসায়ী অমিত সোমানি ও কলকাতা পুলিসের সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত সঞ্জীব পাত্র বলেন, গতবছরই প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ বছরও যে যার কাজ ফেলে ৫০জন বন্ধু দেশ ও রাজ্যের ভিন্নভিন্ন জায়গা থেকে বোলপুরে একত্রিত হয়েছি বলে অত্যন্ত আনন্দ হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)