• আটদিন নিখোঁজ থাকার পর ফরাক্কায় উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর পচাগলা দেহ 
    বর্তমান | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: জেঠুর ফোনে অচেনা নম্বর থেকে দু’লক্ষ টাকা চেয়ে মেসেজ আসার একদিনের মধ্যেই ফরাক্কার শংকরপুর ঘাট থেকে উদ্ধার হল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর পচাগলা মৃতদেহ। অপরদিকে রবিবার সকালে ছাত্রীর দাদুর মৃত্যু হওয়ায় শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার।


    দেহ উদ্ধার হওয়ার পর ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য। আত্মহত্যা নাকি খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে পরিবার। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন তাঁরা। মৃতের জেঠু গুরুচরণ ভগৎ বলেন, এই মৃত্যুর পিছনে রহস্য রয়েছে। পুলিস তদন্ত করলেই আসল কারণ উঠে আসবে। 


    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বারদুয়ারি এলাকার বাসিন্দা দীপ্তি ভগত (২০) গত রবিবার ঝাড়খণ্ডের দুমকা ইঞ্জিনিয়ারিং‌ কলেজ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশন থেকে কুলিক এক্সপ্রেস ধরে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল রামপুরহাট। তারপর সেখান থেকে দুমকায় কলেজে যেতেন তিনি। মালদহ টাউন স্টেশন পর্যন্ত বাড়ির লোকের সঙ্গে দীপ্তির ফোনে কথা হয়। কিন্তু তারপর আর তাঁর হদিশ মেলেনি। ফরাক্কা স্টেশনের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় সেখানে ট্রেন থেকে নেমে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। পরে এনটিপিসির নেতাজি সেতু থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ব্যাগ এবং মোবাইল। কিন্তু তারপর আর কোনও খোঁজ ছিল না। বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ ও শুক্রবার দুপুরে জেঠু গুরুচরণ ভগতের মোবাইলে অচেনা ফোন নম্বর থেকে মেসেজ আসে। বলা হয় তাঁদের মেয়ে কোথায় আছে তারা বলতে পারবে। তবে তার জন্য দু’লক্ষ টাকা দিতে হবে। তার ঠিক একদিন পরই মুর্শিদাবাদ জেলার শংকরপুর ঘাট ফিডার ক্যানেল থেকে ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছে ফরাক্কা থানার পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে দেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন আত্মহত্যা করেছেন ছাত্রী। পুলিস সূত্রে খবর, ছাত্রীর খোঁজ দেওয়ার জন্য টাকা চেয়ে যে ফোন এসেছিল, সেখান থেকেও কিছু সূত্র মিলতে পারে। সবটাই তদন্তসাপেক্ষ।


    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, ফারাক্কা থানার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। দুই থানাই তদন্ত করছে।
  • Link to this news (বর্তমান)