সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: বাঁশ ও বেতের তৈরি কুলোর ব্যবহার কমতে থাকায় শঙ্কা বাড়ছে শিল্পীদের। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। বিকল্প পেশার সন্ধানেও নেমে পড়েছেন অনেকে। মালদহের চাঁচল মহকুমা এলাকায় বাঁশ ও বেতের তৈরি কুলোর ব্যাপক চাহিদা ছিল গৃহস্থ বাড়িতে। ধান মাড়াইয়ের পর ঝাড়তে কুলোর ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সব্জি কেটে কুলোয় রাখেন গৃহিণীরা। এখন কম দামে বাজারে প্লাস্টিকের কুলো সহ বিভিন্ন পাত্র পাওয়া যায়। সেজন্য বাঁশ ও বেত দিয়ে কুলো তৈরি করে উপযুক্ত মূল্যে বিক্রি করতে না পারায় সমস্যায় পড়েছেন কুলো শিল্পীরা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুরের রামপুর গ্রামের কুলো শিল্পী দুর্জয় দাস বলেন, আমরা বংশ পরম্পরায় কুলো তৈরির সঙ্গে যুক্ত। সামসি রতনপুর হাট, কুমেদপুর, তুলসিহাটা সহ এলাকার বিভিন্ন হাটে গিয়ে কুলো বিক্রি করি। কিন্তু সংসার চালানো দায়। বাঁশ ও বেত কিনে কুলো তৈরি করতে যা খরচ পড়ছে, বিক্রি করে সেই টাকা তুলতে হিমসিম অবস্থা। তাই আমাদের পরিবারের নতুন প্রজন্মের ছেলেরা বিকল্প পেশায় যুক্ত হচ্ছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের কুলো শিল্পী সঞ্জয় দাসের ছেলে কৃষ্ণের কথায়, আমাদের পরিবার প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে কুলো তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত। এখন এই কাজ করে সংসার চালানো খুবই কঠিন। কুলোর ব্যবহার দিন দিন কমছে। প্লাস্টিকের পাত্রের দিকে মানুষ ঝুঁকছে। তাই বিকল্প পেশার সন্ধান করতে হচ্ছে। আমি এখন এলাকার হাটে হাটে হলুদ বিক্রি করি।