সংবাদদাতা, চাঁচল: মালদহের চাঁচল-১ ব্লকের আশাপুরে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে বুধবার থেকে শুরু হবে মেলা। সরকারি নির্দেশে মহানন্দা নদীর চরে মেলা চলবে তিনদিন। হাতে আর মাত্র দু’দিন সময় থাকতেই জোরদার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আশাপুর ও ডুমরাল গ্রামের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবছর শতাব্দী প্রাচীন এই মেলার আয়োজন করা হয়। নদীর চরে মেলাকে ঘিরে উন্মাদনা রয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যেও। মেলা শুরুর আগেই অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে। কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী দোকান নিয়ে এসেছেন। কাঠের আসবাবপত্রও নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। মনোরঞ্জনের জন্য নাগরদোলা চলে এসেছে। মেলাস্থলটি জেলার সীমানা এলাকায় হওয়ার ফলে দুই দিনাজপুর থেকেও পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান। মকর সংক্রান্তির কাকভোর থেকেই নদীতে পূণ্যস্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল নামবে। মেলা কমিটির সম্পাদক কল্যাণ সাহা বলেন, গঙ্গামায়ের কাছে ভক্তরা মানত করে নদীতে ডাব ভাসান দেন। নদীঘাটগুলি পরিস্কার, পোশাক বদলানোর ঘর, অস্থায়ী শৌচালয় ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্নান সেরে মুড়িতে আলুর দম মাখিয়ে খান পূণ্যার্থীরা। এটাই মেলার বিশেষত্ব। কথিত রয়েছে, এককময় পুত্র সন্তানের আশায় গঙ্গা মায়ের কাছে মানত করেন এলাকার নবীন দাস। মনস্কামনা পূরণ হলে নদীর ধারে গঙ্গা মায়ের মৃন্ময়ী প্রতিমা গড়ে মকর সংক্রান্তিতে পুজো শুরু করেন তিনি। এভাবে তিনি এক দশক পুজো করতে থাকলে জেলাজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কমিটির সদস্য অচিন্ত্য ঘোষের কথায়, মেলার তিনদিন প্রচুর ভিড় হয়। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সবসময় নজর রাখা হবে। মেলার ক’দিন পুলিস বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মলয় বসাক বলেন, এই মকর সংক্রান্তির মেলায় সব সম্প্রদায়ের মানুষ উপস্থিত হন। পঞ্চায়েতের তরফে বেহাল রাস্তাগুলি অস্থায়ীভাবে সংস্কার করা হয়েছে। কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পূণ্যস্নান চলাকালীন নদীতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন রাখবে প্রশাসন।