• কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোডরেসে মৃত্যু উনিশের তরুণের
    বর্তমান | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষ্যে পুণ্ডিবাড়িতে রোডরেসের আয়োজন করেছিল উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেই রোডরেসে অংশ নিয়ে মৃত্যু হল একছাত্রের। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম রিয়েস রাই (১৯)। তাঁর বাড়ি গোরুবাথান টারে। তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিলেন।


    এদিন সকালে আট কিমি রোডরেস ছিল। পাতলাখাওয়া থেকে পুণ্ডিবাড়ি এই রেসে ওই ছাত্র সাত কিমি চলেও এসেছিলেন। তারপর হঠাৎই তিনি রাস্তার উপর বসে পড়েন। এরপর সেখানেই শুয়ে পড়েন। আয়োজকরা দ্রুত তাঁকে প্রথমে পুণ্ডিবাড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মেডিক্যাল কলেজে ছুটে আসেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সহ অন্য আধিকারিক ও ছাত্ররা। খবর দেওয়া হয় মৃত ছাত্রের বাড়িতে। সেখান থেকে তাঁর মা উর্মিলা রাই কোচবিহারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু, মাঝপথে অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রিয়েসের বাবা মনোজ রাই সৌদি আরবে থাকেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা কোচবিহারে পৌঁছন। এমজেএন মেডিক্যালে মৃত ছাত্রের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। শেষে পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। 


    পরিবারের দাবি, দীর্ঘ রোডরেসের আয়োজনের আগে অংশগ্রহণকারীদের শারিরীক পরীক্ষা করানো উচিত ছিল। তাতে গাফিলতি রয়েছে। এই ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রদ্যুতকুমার পাল বলেন, প্রতি বছর ১২ জানুয়ারি ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়। এবারও তাই হয়েছে। সেখানেই ওই ছাত্র অংশ নিয়েছিল। পুণ্ডিবাড়ি হাসপাতালের সামনে আসার পর ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে প্রথমে বসে পড়ে। শেষে শুয়ে পড়ে। মেডিক্যাল টিম ও ভলেন্টিয়ারা তাকে প্রথমে পুণ্ডিবাড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয়। ম্যারাথনের জন্য সব ধরনের আয়োজনই ছিল। অধিকাংশ অংশগ্রহনকারীই হেঁটে আসেন। তাই আগে মেডিক্যাল পরীক্ষার কোনও বিষয় থাকে না। তবে মৃত ছাত্রের কাকা নকুল রাই বলেন, আমরা কোনও অভিযোগ করিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে। ও আগে থেকে অসুস্থও ছিল না। তবে ও ক্রীড়াবিদ ছিল না। সাত-আট কিমি দৌড়ের আগে একবার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো উচিত ছিল। 
  • Link to this news (বর্তমান)