নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: কাঠের দরজার বাইরে কোলাপসিবল গেট। তার পাশেই জানালা। সেই জানালার ভিতরের দিকে রয়েছে লোহার গ্রিল। তাসত্ত্বেও সেই জানালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে এক চিকিৎসকের বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটল। শনিবার রাতে বিধাননগর দক্ষিণ থানার অন্তর্গত সল্টলেকের এইচ বি ব্লকে এই ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে অবাধে লুটপাট চালায়। আলমারি ও সিন্দুক ভেঙে সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। রবিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। চিকিৎসকের বাড়ির আশপাশের সমস্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাতে দুষ্কৃতীদের গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
ব্রডওয়ের পাশেই এইচ বি ব্লক। এই ব্লকের রাস্তার ধারেই চিকিৎসকের দোতলা বাড়ি। পুরো বাড়িটি প্রায় গ্রিল দিয়ে মোড়া। কেবলমাত্র একতলার জানালার বাইরে গ্রিল ছিল না। তবে, ভিতরের দিকে গ্রিল ছিল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সেই জানালাটিকেই টার্গেট করেছিল। সেটি ভেঙেই তারা বাড়ির ভিতরে ঢোকে। ভিতরে চাবিও পেয়ে যায়। সমস্ত ঘরেই লুটপাট চালায়। একটি ঘরে সিন্দুক তথা লোহার ছোট্ট লকার ছিল। সেই লকারটি ভাঙে দুষ্কৃতীরা। তারপর নগদ টাকা, সোনার গয়না ও বিভিন্ন জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসেছিল। রাত দেড়টা থেকে আড়াইটের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।
বর্তমানে ওই চিকিৎসক নিউটাউনে থাকেন। সল্টলেকের বাড়িতে কেউ থাকেন না। তবে, রোজ সকালে তাঁদের গাড়িচালক ও পরিচারিকা এই বাড়িতে আসেন। বাড়ি পরিষ্কার করার পর চালক আবার চলে যান। অন্যান্য দিনের মতো রবিবার সকালে গাড়িচালক সল্টলেকের বাড়িতে আসেন। তিনি দেখেন, একতলার জানালা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে দেখেন, সমস্ত জিনিসপত্র তছনছ করা। তারপর খবর পেয়ে চলে আসেন ওই চিকিৎসক। পুলিস জানিয়েছে, কত গয়না চুরি গিয়েছে, তা এখনও হিসেব করেননি ওই চিকিৎসক। তাঁকে তালিকা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে বিধাননগর উত্তর থানার অন্তর্গত একটি বাড়ি থেকে একটি দামি বাইক চুরি গিয়েছিল। তার পরের দিন চিকিৎসকের বাড়িতে চুরির ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।