• বিদ্যাধরী ২ নম্বর খাল সংস্কারের উদ্যোগ
    বর্তমান | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অবশেষে সংস্কার হতে চলেছে বিদ্যাধরী ২ নম্বর খাল। পলি জমে এই খালের নাব্যতা একেবারে কমে গিয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই খাল পরিষ্কার হয় না। ফলে চারদিক ভরে গিয়েছে কচুরিপানায়। খাল মজে যাওয়ায় সোনারপুর ব্লকের খেয়াদহ ১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েতের কৃষক ও মৎস্যজীবীদের ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত বহুদিন আগেই এই খাল সংস্কারের বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিল। ১৭ ডিসেম্বর এই নিয়ে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয় প্রশাসনের। সেখানে মোট ১৭টি খাল সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের প্রশ্নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বিদ্যাধরী ২ নম্বর খালকে। ইতিমধ্যেই খাল পরিদর্শন করেছেন আধিকারিকরা।


    কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের লালকুঠি এলাকা থেকে বিদ্যাধরী খাল তিন ভাগ হয়ে তিনদিকে বয়ে গিয়েছে। ১ ও ৩ নম্বর গিয়েছে প্রতাপনগর পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা দিয়ে এবং ২ নম্বর খাল গিয়েছে খেয়াদহ ১ ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে। এই খালের উপর নির্ভরশীল প্রায় ৩০টি গ্রাম। কৃষি ও মাছ চাষের জন্য এই খালের জলই ব্যবহার করেন এলাকার মানুষ। গত কয়েক বছর ধরেই বিদ্যাধরী ২ নম্বর খালে সেভাবে জল নেই। ফলে এলাকার মানুষ কৃষি ও মাছ চাষ ছেড়ে বিকল্প জীবিকা বেছে নিয়েছেন। খেয়াদহ ১ নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোরাচাঁদ নস্কর বলেন, কলকাতার লালকুঠি থেকে আমাদের পঞ্চায়েতের বয়নালা গ্রাম পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালের একাংশ সংস্কার করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানোর পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই কাজ করতে রাজি হয়েছে। খাল সংস্কার হলে উপকৃত হবেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।


    এদিকে, খালের ধারে গজিয়ে উঠেছে বহু বেআইনি দোকানঘর। সেগুলি তুলে দেওয়া হবে বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত দোকান মালিকদের প্রথমে নোটিস ধরাবে। সেই মতো তাঁরা সরে গেলে ভালো, নয়তো পুলিস নিয়ে গিয়ে ঘরগুলি ভেঙে দেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)