ইতিহাস-কথায় সাজানো হচ্ছে বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের একাধিক আইল্যান্ড
বর্তমান | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: দেশের অন্যতম প্রাচীন সেনা ছাউনি রয়েছে বারাকপুরে। সেই ইতিহাস তুলে ধরতে বিভিন্ন আইল্যান্ড সাজাচ্ছে বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড। সিপাহী বিদ্রোহের কাণ্ডারী মঙ্গল পান্ডে সহ বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামীর কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটের ইতিহাসও তুলে ধরছে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড।
বারাকপুর চিড়িয়া মোড় থেকে গঙ্গার দিকে কিছুটা গেলেই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকা শুরু হচ্ছে। যেখানে সেনাদের ছাউনি, বেস হাসপাতাল, অফিসার্স মেস, বিভিন্ন নামীদামি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, গভর্নর হাউজ, বারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজ, মঙ্গল পান্ডে উদ্যান প্রমুখ রয়েছে। গোটা এলাকা দেখভাল করে বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড। এই এলাকায় ২২ হাজার মানুষ বসবাস করে। তবে চার বছর ধরে এখানে নির্বাচিত বোর্ড নেই।
ইতিমধ্যে ধোবিঘাটের সামনে একটি ফেরিঘাট চক তৈরি করা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে গোলাঘাট ও ধোবিঘাটের ইতিহাস। আবার মঙ্গল পান্ডে পার্কের সামনে মঙ্গল পান্ডে, মাতঙ্গিনী হাজরা ও সরোজিনী নাইডুর ছবি ও জীবনী উল্লেখ করা হয়েছে। একই রকমভাবে তৈরি করা হয়েছে টাইগার চক।
এ ব্যাপারে বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সিইও জ্যোতি কাপুর বলেন, এই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড সব থেকে প্রাচীন। এখানকার স্কুলগুলিতে অনেক ছেলেমেয়ে পড়তে আসে। ফেরিঘাট দিয়েও বহু মানুষ যাতায়াত করে। তাঁদের কাছে এই এলাকার ইতিহাস তুলে ধরতেই সবকটি আইল্যান্ডকে সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনটে আইল্যান্ডে তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলিকেও তৈরি করা হবে।