• বাড়ছে পার্কিং, আরও উড়ানের দাবি কোচবিহার বিমানবন্দরে
    এই সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • প্রবীর কুণ্ডু, কোচবিহার

    আগামী দিনে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে আরও উড়ান চালু হতে পারে। বিমানবন্দরে যেখানে বিমান দাঁড়ায়, কোচবিহারের সেই অ্যাপ্রোন এলাকা বা এয়ারসাইডে পার্কিং–বে বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করার পরে এমন সম্ভাবনা প্রকট হয়েছে।

    এই মুহূর্তে কোচবিহার থেকে প্রতিদিন ইন্ডিয়া ওয়ান এয়ারের যে বিমানটি নিয়মিত উড়ছে, সেখানে চালক–সহ ১১টি আসন রয়েছে। যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ন’টি আসন। এটি ভুবনেশ্বর–জামশেদপুর ও কলকাতায় যাতায়াত করছে। মূলত কোচবিহার–কলকাতা রুটে নিয়মিত ব্যাপক চাহিদা আছে যাত্রীদের। তাই বেশি আসনের বিমান কিংবা নিয়মিত আরও একটি উড়ান চালুর দাবিও উঠেছে।

    কোচবিহারে এখন একটিমাত্র পার্কিং বে রয়েছে। কোচবিহার বিমানবন্দরের অপারেটিং ডিরেক্টর শুভাশিস পাল বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে অ্যাপ্রোনের পরিকাঠামো বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। সেটা শেষ হলে দু’টি বিমান পাশাপাশি দু’টি পার্কিং বে–তে অনায়াসে দাঁড় করানো সম্ভব হবে।’ সূূত্রের খবর, কোচবিহার থেকে আগামী দিনে উড়ান সংখা বাড়তে পারে বলেই বাড়ানো হচ্ছে পার্কিং বে।

    বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এতদিন কোচবিহারের অ্যাপ্রোন ছিল ৬১ মিটার লম্বা ও ৭৯ মিটার চওড়া। সেটি আরও ১৪ মিটার বাড়াতে চলেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সেখানে যে পার্কিং বে–টি এখন রয়েছে তার সাড়ে তিন মিটার দূরে আরও একটি পার্কিং বে তৈরির কাজ দু’সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে পাশাপাশি দু’টি ছোট বিমান দাঁড়াতে পারবে। নতুন পার্কিং বে তৈরি করতেই বিমানবন্দরে যাত্রীদের টার্মিনাল বিল্ডিং–লাগোয়া অ্যাপ্রোনের জমিটি লম্বা ও চওড়ায় আরও সাত মিটার করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    এখন কোচবিহার বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ১০৬৭ মিটার। সেখানে বড়জোর ২০ আসনের বিমান ওঠানামা করতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই ছোট বিমানের জন্য নতুন পার্কিং বে–টি তৈরি করা হচ্ছে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, যাত্রী–চাহিদার কথা মাথায় রেখেই কোচবিহারে এটিআর–৭২ বিমান ওঠানামার উপযোগী করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল আগেই। সেই কারণে, রানওয়ের শেষ প্রান্তে থাকা মরাতোর্সা নদীতে কালভার্ট তৈরি করে রানওয়েটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু, কোচবিহার বিমানবন্দর উন্নয়নের সেই প্রস্তাব এখনও মঞ্জুর হয়নি।

  • Link to this news (এই সময়)