• অবাধে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা, আতঙ্কে আবাসিকরা
    এই সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, ময়নাগুড়ি: গোরুমারা অভয়ারণ্যের প্রায় গা ঘেঁষে রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। জঙ্গলের মাঝে মনোরম পরিবেশ। দেড়শো একর চৌহদ্দির এক প্রান্তে রয়েছে কর্মীদের আবাসন। গোটা ক্যাম্পাস দিনের বেলায় বেশ নির্জন। অন্ধকার নামলেই বদলে যায় সেখানকার চেহারা। এক দিকে বন্য জন্তুদের আনাগোনা, অন্য দিকে দুষ্কৃতীদের দাপট। ফলে আবাসনের বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    ময়নাগুড়ি ব্লকের শেষ প্রান্তে রয়েছে জেলার এই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। কার্যালয়ের বেশ কিছুটা দূরে দুই প্রান্তে রয়েছে কর্মীদের আবাসন। কিছু সোলার লাইট এবং পথবাতি রয়েছে ঠিকই কিন্তু অন্ধকারের তুলনায় অনেক কম। তার উপরে আবার পাঁচিলও জায়গায় জায়গায় ভাঙা।

    দিনের আলোতেই বাইরের লোকেদের আনাগোনা চলে। অন্ধকার নামলে তো কথাই নেই, লেপার্ড থেকে হাতি, অনেক বন্যপ্রাণী চলে আসে ক্যাম্পাসে। গত কয়েক মাসে আবার বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনাও ঘটেছে। দুষ্কৃতীদের রুখতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি৷ পুলিশ চলে যেতেই সেই আগের আবস্থা। গত মাসেও কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের ভিতর থেকে একটি পাম্পসেট চুরি হয়েছে।

    তারপর থেকে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। জেলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী বিপ্লব দাস বলেন, ‘প্রাচীর দেওয়ার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানানো হয়েছে।’ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের আর এক বিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘প্রাচীর ভীষণ ভাবে প্রয়োজন৷ মূল কার্যালয়ের থেকে আবাসনের দূরত্ব অনেকটা বেশি থাকায় সন্ধের পর ক্যাম্পাসে চলাফেরায় সমস্যা তৈরি হয়। জেলা প্রশাসনকে সবটাই জানানো হয়েছে।’

    ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুমুদরঞ্জন রায়ের বক্তব্য, ‘রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির তরফে জেলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে রাস্তাঘাট ও পানীয় জল প্রকল্প করা হয়েছে। তবে প্রাচীর দেওয়ার মতো অর্থ নেই।’ এর আগে সাংসদ জয়ন্ত রায় সহ কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী কৈলাস চৌধুরী পরিদর্শনে করে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)