• কাঁপুনি ছাড়াই মকর স্নান, পৌষ সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত অধরাই
    এই সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • পৌষ সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীতের আশায় জল ঢালল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। ফলে হাড়কাঁপুনি ছাড়াই এ বার মকর স্নান। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, রাতের তাপমাত্রা এক থাকলেও বেড়েছে দিনের তাপমাত্রা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও এক থেকে দু’ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। জেড স্ট্রিম উইন্ড রয়েছে উত্তর ভারত জুড়ে। শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি বেশ কিছু এলাকায়। ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে পূর্ব রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকায়। এ ছাড়াও, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকাতেও রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে প্রয়াগরাজে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এই প্রয়াগরাজেই ১৪৪ বছর পর এই বছর মহাকুম্ভ মেলা হচ্ছে।

    তবে, গঙ্গাসাগরে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। যদিও পৌষ সংক্রান্তিতে ঠান্ডার আমেজ উধাও হবে। বৃহস্পতিবার থেকে ফের পারদ পতনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। যা বজায় থাকবে গোটা জানুয়ারি মাস। তবে শীতের আমেজ ফিরলেও বঙ্গে হাড়কাঁপানো ঠান্ডার সম্ভবনা ক্ষীণ।

    উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায় হাল্কা বৃষ্টি এবং সামান্য তুষারপাতের পূর্বাভাস। বৃষ্টি হবে কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকাতেও। বৃষ্টি এবং তুষারপাতের জেরে পার্বত্য এলাকার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস নামবে। কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও মালদায়। বেশিরভাগ জেলাতেই দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের কাছাকাছি থাকবে।

    ঘন কুয়াশার সতর্কতা উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। তবে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা কমলেও বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা। দক্ষিণবঙ্গে দিনের এবং রাতের পারদ স্বাভাবিকের থেকে সামান্য বেশি রয়েছে। মঙ্গলবার তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, সোম এবং মঙ্গলবার হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের প্রায় জেলাতেই। ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কলকাতাতেও সকালের দিকে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা।

    শনিবার ১২ ডিগ্রির ঘরে চলে গিয়েছিল কলকাতা শহরের পারদ। সোমে তা আবার ফিরল ১৪ ডিগ্রির ঘরে। মঙ্গলবার সংক্রান্তির দিন তা ১৫ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছাতে পারে। ফলে পৌষ সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত অধরা থাকবে। বৃহস্পতিবারের পর অবশ্য সামান্য পারদ পতনের সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। কলকাতার রাতের তাপমাত্রা ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সোমে একলাফে বেড়ে ২৫.৩ ডিগ্রিতে পৌঁছতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে ৪৭ থেকে ৮৯ শতাংশ।

    এ দিকে, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, করাইকালে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। অতিঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা রয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। অতিঘন কুয়াশা দেখা যাবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডিগড় এবং উত্তরপ্রদেশেও। হিমাচল প্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং ওডিশাতেও ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।। অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজ়োরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরাতেও রয়েছে ঘন কুয়াশা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ে। প্রয়াগরাজে ঘন কুয়াশা এবং হাল্কা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই শাহী স্নানে নামছেন পুণ্যার্থীরা।

  • Link to this news (এই সময়)