গঙ্গাসাগরে ৫০ লক্ষ ভক্তের সমাগম! পুণ্যস্নানের আগে নিরাপত্তার চাদরে মেলা চত্বর ও কপিল মুনির মন্দির
আজকাল | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রমের চতুর্দিক সোমবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে গিয়েছে। আগামিকাল, মঙ্গলবার ভোরে শুরু হচ্ছে পুণ্যস্নানের তিথি। তার কয়েক প্রহর আগে ঠান্ডায় গরম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় হাজার-হাজার পুণ্যার্থী। তাঁদের নিরাপত্তায় ড্রোন ক্যামেরা ও হেলিকপ্টার আকাশে চক্কর দিচ্ছে। মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। এবছর গঙ্গাসাগরে ১ তারিখ থেকে রবিবার সন্ধে পর্যন্ত ৪২ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে, জানিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। প্রশাসনের এক কর্তা সোমবার সকালে বলেন, রবিবার রাতেই ৫০ লক্ষের ভিড় পার করেছে। আগামিকাল পুণ্যস্নানের আগে দ্বিগুণ মানুষের জনাসমাগম হতে পারে বলে অনুমান করছে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে অতিরিক্ত লঞ্চ ও ভেসেল। রাস্তায় চলছে অতিরিক্ত বাস।
গোটা মেলা চত্বর জুড়ে এবং কপিল মুনির আশ্রমকে সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা অজয় তিওয়ারি বলেন, 'ট্রেন তারপর বাস পরে লঞ্চে চেপে এসেছি। এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এখানে পৌছে প্রশাসনের আন্তরিকতায় অত্যন্ত খুশি। ওঁদের জন্য হারিয়ে যাওয়া পরিবারের একজনকে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফিরে পাই।' সাগরে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে মোক্ষ লাভের আশায় সাগরদ্বীপে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। তাঁদের নিরাপত্তায় ১৩ হাজার পুলিশকর্মী ও আড়াই হাজার সিভিল ডিফেন্স কর্মী দিনরাত এক করে ডিউটি দিচ্ছেন। ডিটেকশন ডগ বা স্নিফার ডগ দু'টি আনা হয়েছে। অন্যদিকে মেলায় চোরেদের উপদ্রব পুলিশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। উলুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগরে আসা প্রৌঢ়ের ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়েছে চোর। ওই ব্যাগেই ছিল তিন লক্ষাধিক টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন। ইতিমধ্যে গঙ্গাসাগর কোস্টাল অস্থায়ী পুলিশ থানায় অভিযোগ করেছেন শ্যাম মাখাল নামক ওই প্রৌঢ়। অভিযোগে জানিয়েছেন, উলুবেড়িয়া থানার জগরামপুর-বাঁশবেড়িয়া এলাকার একটি আশ্রম থেকে প্রায় ১৫০ জন পুণ্যার্থীকে নিয়ে গঙ্গাসাগরে আসেন তিনি। সাগরে পাঁচ নম্বর রাস্তার ধারে শৌচাগারে যাচ্ছিলেন, তখনই ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে পালায়। জামাকাপড় ও ব্যাগ উদ্ধার হলেও টাকা ও মোবাইলের সন্ধান পাননি তিনি।