এই সময়, বাঁকুড়া: জাতীয় যুব দিবসে মুকুটমণিপুরে অনুষ্ঠিত হলো গ্রিন ম্যারাথন। মুকুটমণিপুর মেলা উপলক্ষে খাতড়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে রবিবার ওই দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। এ দিনই সকালে কোচবিহারে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যারাথনে দৌড়নোর সময়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় অনিশ রাই নামে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। ম্যারাথন শুরু হয়ে কিছু দূর যাওয়ার পরই পড়ে যান তিনি।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মুকুটমণিপুরে এ দিন অবশ্য সতর্কতার সঙ্গেই হয়েছে ম্যারাথন। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নকুলচন্দ্র মাহাতো বলেন, ‘মুকুটমণিপুরে ম্যারাথনের জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা ছিল।’
এ দিন কংসাবতী জলাধারের পাড়ে পরেশনাথে প্রথমে স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তার পর নীল-সাদা বেলুন উড়িয়ে হয় গ্রিন ম্যারাথনের সূচনা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নকুলচন্দ্র মাহাতো, খাতড়ার মহকুমাশাসক শুভম মৌর্য, এসডিপিও অভিষেক যাদব–সহ খাতড়া মহকুমার বিভিন্ন ব্লকের বিডিওরা।
পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে দুই শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন এই প্রতিযোগিতায়। পরেশনাথ থেকে মুকুটমণিপুরের দিকে ড্যামের পাড়ের রাস্তায় পুরুষদের জন্য পাঁচ কিলোমিটার ও মহিলাদের জন্য সাড়ে তিন কিলোমিটার দৌড়ের ব্যবস্থা ছিল। দৌড়ে অংশ নেন রাজ্যের মন্ত্রী–সহ প্রশাসন ও পুলিশের আধিকারিকরাও।
প্রতিযোগিতায় পুরুষ বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হন সুভাষ সোরেন, নিমাই মাহাতো ও জিৎ সিংহ। মহিলা বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হন রানি কর্মকার, বৃষ্টি ভুঁইয়া ও অর্পিতা রায়। উল্লেখযোগ্য ভাবে এ দিন ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন কামাক্ষাচরণ পাত্র নামে খাতড়ার বাসিন্দা বছর ৬৭-র এক প্রৌঢ় ও অনুপমা মণ্ডল নামে পুরুলিয়া জেলার বাসিন্দা বছর সাতের এক শিশু। খাতড়ার মহকুমাশাসক শুভম মৌর্য জানিয়েছেন, এই দু’জনকে বিশেষ ভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
অন্য দিকে, যুব দিবস উপলক্ষে এ দিন বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে হয় ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। কমবেশি নয় কিলোমিটারের ওই দৌড়ে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ৯০ জন প্রতিযোগী।