কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র তোলাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদে উত্তেজনা ছড়াল সমবায় ব্যাঙ্ক চত্বরে। এক গোষ্ঠীকে অন্য গোষ্ঠীর উদ্দেশে ‘চোর চোর’ স্লোগান দিতে দেখা গেল ব্যাঙ্ক চত্বরে। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে বিপুল ভোটে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা।
দীর্ঘ আইনি জটিলতার পর গত ১৫ ডিসেম্বর কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন হয়। ১০৮ জন ডেলিগেটের মধ্যে ১০০ জন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি, ৭ জন বিজেপি ও ১ জন নির্দল জিতেছে। সোমবার ডিরেক্টর নির্বাচনের নমিনেশন ফর্ম তোলার দিন ছিল। তৃণমৃল নেতা চিন্তামণি মণ্ডলের নেতৃত্বে এক গোষ্ঠী নমিনেশন ফর্ম তুলতে যান। তাঁদের উদ্দেশেই ‘চোর চোর’ বলে স্লোগান তোলেন মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি ও তাঁর দলবল।
সুপ্রকাশ বলেন, ‘ওঁরা ভেতরে ভেতরে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত রেখে এসব করছে। দলের নির্দেশ কার্যত মানছেন না। শুভেন্দু অধিকারীর আমলে ওঁরা পরিচালন কমিটিতে ছিলেন। শুভেন্দুর সঙ্গে বোর্ডে থেকে ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকা চুরি করেছে।’ অন্যদিকে চিন্তামণি বলেন, ‘এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও প্রশ্নই নেই। দলের নির্দেশ মেনেই সব করা হয়েছে। যাঁরা চোর চোর বলছে, তাঁরা অন্য কোনও দলের হতে পারেন।’
সমবায় নির্বাচন স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়নি এমনই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। এর মাঝে ৩১শে জানুয়ারি ডাইরেক্টর নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন। শাসকদল তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ লাভ করলেও গোষ্ঠী বিবাদের জেরে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সমবায়কে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের গোষ্ঠী বিবাদে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কাঁথি সংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অরূপকুমার দাস জানান, ‘তৃণমূল বিশৃঙ্খল দল। তাদের বিষয়ে আমরা কিছু বলতে চাই না। আমাদের আশঙ্কা,পদে বসার আগে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে পরে কী হবে? সমিতিটাই উঠে যাওয়ার চিন্তায় রয়েছি।’