পুরুলিয়া-সহ ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি অঞ্চলে আবার বাঘের আতঙ্ক, খোঁজ পেতে হন্যে বনদপ্তর...
আজকাল | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
অরিন্দম মুখার্জী: বেশ কিছুদিন ধরে জিনাত আতঙ্কে ভুগছিল পুরুলিয়া-সহ ঝাড়গামের বেলপাহাড়ির গোটা গ্রাম। অনেক কষ্টে জিনাতকে ধরা গেলেও তারই এক পুরুষ সঙ্গী পালামৌ জঙ্গল থেকে চলে এসে ঝাড়খণ্ডের চান্ডিল সংলগ্ন এলাকায়। গত ১২ দিন ধরে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার মধ্যে থাকা বিভিন্ন জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়। ঝাড়খণ্ডের বনবিভাগ খোঁজ পায়নি বাঘটির। রবিবার বাঘটি পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের যমুনা গড়া জঙ্গল এলাকায় প্রবেশ করে পুরুলিয়ার দক্ষিণ কংসাবতীর দিকে গিয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। পায়ের ছাপ দেখে অনুমান, বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড় হয়ে বেলপাহাড়ির বাস পাহাড়ি রেঞ্জের মালিহাটি জঙ্গলে প্রবেশ করেছে বাঘটি। গলায় রেডিও কলার না থাকায় তার সঠিক অবস্থান ধরা পড়ছে না। বাঘের খোঁজে ট্র্যাক ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঝাড়গ্রামের বনবিভাগ। এর ফলে নতুন করে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে বাঘের আতঙ্ক দেখা গেছে।
বাঘের সঠিক অবস্থান জানতে পুরুলিয়ার দক্ষিণ কংসাবতী বনবিভাগ এবং পুরুলিয়া বনবিভাগ দল নিয়ে পৌঁছে গিয়েছে বান্দোয়ানে। বনবিভাগের কর্তারা বারবার বাঘটিকে বাগে আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের কলাকৌশল এবং রূপরেখা তৈরি করার চেষ্টা করছে। বান্দোয়ান এবং বেলপাহাড়িতে স্থানীয় মানুষজন যে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছিলেন সেটি ১৭ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ১২ সেন্টিমিটার চওড়া। বনবিভাগ জানিয়েছে, এই বাঘের পায়ের ছাপ এবং ঝাড়খণ্ডে যে ছাপ পাওয়া গিয়েছে দু'টো একই রকম। যার ফলে ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ এবং পশ্চিমবঙ্গ বনবিভাগে কর্তাদের অনুমান ঝাড়খণ্ড থেকেই বাঘটি বান্দোয়ানে প্রবেশ করেছে।
যমুনা গড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বলহরি টুডু বলেন, ''আমি জঙ্গলে এসে পায়ের ছাপ দেখেছি এবং নিজের চোখে দেখেছি হলুদ কালো ডোরাকাটা বড় একটা বাঘ দৌড়ে জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করছে। আমাদের এই জঙ্গলে আসতে হয় কাঠ সংগ্রহ করতে। কিছুটা হলেও আতঙ্কে ভুগছি।'' অপর এক বাসিন্দা বধু টুডু বলেন, ''আমিও পায়ের ছাপ দেখেছি। সেই থেকে অনুমান করছি এখানে বাঘ এসেছে। কিন্তু একটু হলেও আতঙ্কে আছি। প্রশাসন সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে বাঘটিকে ধরার জন্য।''