আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বাবা-মা। হস্টেলের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বারবার ধাক্কা দেওয়ার পর, ফোন করার পরেও মেলেনি তাঁর সাড়া। শেষমেশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখেন, ছেলের ঝুলন্ত দেহ। আইআইটি খড়গপুরের তৃতীয় বর্ষের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল।
সোমবার আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মৃত পড়ুয়ার নাম শাওন মালিক। ২০ বছর বয়সি পড়ুয়া ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। অত্যন্ত মেধাবী পড়ুয়া ছিলেন তিনি। রবিবার শাওনের পরিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও তাঁর সাড়া না পাওয়ায়, কর্মীদের ডাকেন বাবা-মা।
রবিবার হস্টেলের দরজা ভেঙে শাওনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। হস্টেলের ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। কীভাবে পড়ুয়া এমন চরম পদক্ষেপ নিলেন, তা ঘিরে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ ও সহপাঠীরা।
পড়ুয়ার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁর সহপাঠীদের। মেধাবী পড়ুয়ার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার, অধ্যাপকরা।