আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমে মানুষ কী না করেন। প্রেমের পরিণতিতে বিয়ে, প্রেম বিচ্ছেদে দুঃখ। তাই বলে বিয়ের দাবি নিয়ে সোজা প্রেমিকের বাড়িতে ধর্না! যদিও এই ঘটনা খুব একটা নতুন নয়। তবে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল শীতলকুচিতে।
৯৯ কিলোমিটার দূর থেকে ভালবাসার টানে প্রেমিকের বাড়িতে এসে ধর্নায় বসলেন যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে শীতলকুচির বড়কৈমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড় পিনঝারীর ঝাড় এলাকায়। ওই ঘটনার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা ভিড় জমাতে শুরু করেন ঘটনাস্থলে। পরে যুবতীকে সহযোগিতা করতে আসেন বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠন। ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, শীতলকুচির বড়কৈমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড় পিনঝারীর ঝাড় এলাকার এক সিআরপিএফ জওয়ানের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় ময়নাগুড়ির যুবতীর। দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন।
তবে কাহিনিতে মোড় আসে সেপ্টেম্বরে। ১৫ তারিখ ওই সিআরপিএফ জওয়ানের বাড়িতে আসেন ওই যুবতী। কিন্তু সেপ্টেম্বর যুবতী প্রেমিকের বাড়ি গেলে, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে সিআরপিএফ জওয়ান জম্মু কাশ্মীরে কর্তব্যরত অবস্থায় রয়েছেন।
পরে ওই যুবতী জানতে পারেন যুবকের অন্যত্র বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারপরেই যুবকের বাড়িতে ফের যান প্রেমিকা। বিয়ে অন্যথা আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি দেন বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে যুবক কিংবা তাঁর পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও।যুবতীর ধর্নায় বসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন ছুটে আসে এবং ওই যুবতীর পাশে থাকার আশ্বাস দেয়। এদিন ঘটনাস্থলে আসা বীর চিলারায় সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ধীরেন বর্মন বলেন, একটি মেয়ে দীর্ঘদিনের প্রেমের স্বীকৃতির দাবিতে এক যুবকের বাড়িতে ধর্নারত অবস্থায় রয়েছেন। আমরা চাই অসহায় মেয়েটি ন্যায়বিচার পাক।