• স্যালাইন-কাণ্ডে বড় দুর্নীতির ইঙ্গিত শুভেন্দুর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে মামলার দাবি
    আজ তক | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া স্যালাইন কাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, এ ঘটনায় একমাত্র দায়ী তৃণমূল সরকার এবং অভিযোগ করেন, ওই প্রসূতির সাধারণ মৃত্যু হয়নি, তাঁকে 'মারা' হয়েছে। শুভেন্দু জানান, এটি 'ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ'। সোমবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই বক্তব্য পেশ করেন।

    শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, যে ওষুধ কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই কোম্পানিকে গত ১০ ডিসেম্বর নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তবে এক মাস পরেও ওই কোম্পানির স্যালাইন কীভাবে সরকারি হাসপাতালে ব্যবহৃত হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার দাবি, স্বাস্থ্য দফতরের মারাত্মক অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, এবং স্যালাইন ব্যবহারে গাফিলতি করা হয়েছে।

    তিনি আরও জানান, কর্নাটক সরকার অনেক আগে এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করলেও রাজ্য সরকার নির্দেশিকা দেয়ার প্রায় তিন সপ্তাহ পরেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এই গাফিলতিকে 'ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ' হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। শুভেন্দুর মতে, এই ঘটনার পেছনে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেন রয়েছে এবং যদি ইডি তদন্ত শুরু করে, তাহলে তা বেরিয়ে আসবে।
    এছাড়া, শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি করেছেন এবং ইডিকে এই ঘটনার তদন্ত করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ওই প্রসূতি মারা যাননি, তাঁকে 'মেরে ফেলা হয়েছে'।

    উল্লেখ্য, স্যালাইন কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত দু'জন প্রসূতি ভেন্টিলেশনে রয়েছেন এবং এক জন আইসিসিইউতে। স্বাস্থ্য দফতরের গঠিত ১৩ সদস্যের কমিটি প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে অনুমান করেছে, রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইনই তাদের অসুস্থতার কারণ।
    এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টে এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হয়েছে এবং আদালত প্রাথমিকভাবে শুনানির জন্য অনুমতি দিয়েছে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের সামনে চলতি সপ্তাহে এসব মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

     
  • Link to this news (আজ তক)