মনোরঞ্জন মিশ্র: বাঘ বন্দির খেলায় নেমেছে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের দুই প্রান্তের বন দপ্তর। জিনাতের পর ফের বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে বান্দোয়ানে । সন্ধ্যা নামলেই ফের গৃহবন্দী হয়ে পড়ছেন বান্দোয়ানের জঙ্গল লাগুয়া গ্রামের বাসিন্দারা । ঝাড়খণ্ডের দলমা রেঞ্জ হয়ে ওই বাঘ পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের জঙ্গলে প্রবেশ করে থাকতে পারে বলে অনুমান বন বিভাগের। এই বাঘের গলায় রেডিও কলার না থাকায় বর্তমানে সঠিক অবস্থান জানতে পারছে না ঝাড়খণ্ড ও বাংলার বন বিভাগের আধিকারিকেরা।
কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগে বান্দোয়ান ১ নম্বর বনাঞ্চল যমুনাগোড়ায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে বলে খবর । এরপরই বনাধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বনকর্মীদের টিমকে। সীমান্ত এলাকায় বসানো হয়েছে একাধিক ক্যামেরা। বান্দোয়ানের জঙ্গলে পাওয়া পায়ের ছাপের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের বাঘের পায়ের ছাপের মিল রয়েছে কি না তদন্তে শুরু করেছে বন দপ্তর ।
গত ২২ ডিসেম্বর বান্দোয়ানের রাইকা জঙ্গলেই আশ্রয় নিয়েছিল ওড়িশার সিমলিপাল থেকে আসা বাঘিনী জিনাত । বাঘিনীকে খাঁচাবন্দী করতে কালঘাম ছুটেছিল পুরুলিয়া বনবিভাগের। বান্দোয়ানের রাইকার জঙ্গল থেকে মানবাজার ২ হয়ে বাঁকুড়ার জঙ্গলে প্রবেশ করেছিল বাঘিনী । সেখানেই খাঁচাবন্দি করা হয়েছিল বাঘিনীকে ।
গত ১৩ দিন ধরে ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসোঁওয়া বনবিভাগের চান্ডিল, চৈনপুর, বালিডি, চৌকা, দলমা বনাঞ্চল সহ একাধিক জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে । প্রতিদিনই ১০-১২ কিমি হেঁটে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছে ওই বাঘ । ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (WII) টিম, সরাইকেলা- খরসোঁওয়া, পূর্ব সিংভূমের জামশেদপুর, খুঁটি বনবিভাগ, দলমা মিলিয়ে প্রায় ৭-৮ জন ডিএফও পদমর্যাদার আধিকারিক, পালামৌ টাইগার রিজার্ভের বাঘ বিশেষজ্ঞরা একজোট হয়ে সেই বাঘকে বাগে আনতে পারেনি। ঝাড়খন্ড - পুরুলিয়া সীমান্তে মতান করা হয়েছে বনকর্মীদের টিমকে । ঝাড়খন্ড সীমানাতেও ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে । বাঘের অবস্থান কোথায় তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের বনা ।