দেব গোস্বামী, বোলপুর: ফের উত্তপ্ত হল বীরভূমের নানুর। অনুব্রত মণ্ডল অনুগামী তৃণমূলের এক নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হল। অভিযোগের তির কাজল শেখ অনুগামীদের দিকে। সোমবার বেলায় হওয়া এই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত জেলা রাজনীতি। সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জখম রিঙ্কু চৌধুরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান অসুস্থ হয়ে বাড়িতে রয়েছেন। তাঁকে দেখতে সোমবার নানুরের ব্রাহ্মণখণ্ড গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি রিঙ্কু চৌধুরী। শাসক দলের অন্দরে খবর, রিঙ্কু চৌধুরী ও আব্দুল কেরিম খান দুজনেই অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ। রিঙ্কু চৌধুরীকে দেখে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন তিনি।
অভিযোগ, জনা পঞ্চাশেক ব্যক্তি গ্রামের মধ্যেই তাঁর উপর চড়াও হন। তাঁকে গ্রামেরই একটি ঘরে তুলে নিয়ে গিয়ে রড, লাঠি, বন্দুকের বাট দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নানুর ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানেই তিনি এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে বলে খবর। হাত ভাঙার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
যদিও এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বলতে নারাজ নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “মারধরের ঘটনা তাঁর জানা নেই। তবে রিঙ্কু চৌধুরীকে নানুরের বেশ কয়েকজন যুবক খোঁজ করছিলেন। তাঁদের চোখেমুখে রাগ ছিল। বেশ কয়েক বছর আগে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিলেন রিঙ্কু। তারপর থেকেই আর তাঁদের ফোন ধরছিলেন না।”
বীরভূমের মাটিতে অনুব্রত মণ্ডল-কাজল শেখের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদের ঘটনা মাঝেমধ্যেই দেখতে পাওয়া যায় বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও কাজল শেখ বিবাদের কথা মানতে চাননি। অনুব্রত মণ্ডল তাঁর রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু। তাঁকে এখনও অগ্রজই মনে করেন তিনি। এমনই বরাবর জানান কাজল শেখ।